০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫

ঈদের আগে গঙ্গাচড়ায় লাম্পি স্কিন রোগের সংক্রমণ, দিশেহারা খামারিরা

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / ৪৯ বার পড়া হয়েছে।

??????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গবাদি পশুর কেনাবেচা শুরু হলেও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামের এক ভাইরাসজনিত রোগ। ইতোমধ্যেই উপজেলার পাঁচ শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে কয়েকটি গরু। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা।
বুধবার (৭ মে) সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পাইকান ঢিং পাড়ার কৃষক আসমা খাতুন বলেন, আমার এলাকায় অনেকের গরুই এই রোগে আক্রান্ত। আমরা কেউ বুঝতে পারছি না কীভাবে সামাল দেবো।একই এলাকার খামারি বুলু মিয়া বলেন, ঈদের জন্য একটি গরু প্রস্তুত করছিলাম। গত সপ্তাহে সেটি হঠাৎ ফুলে যেতে থাকে। পরে ডাক্তার জানায় এটা লাম্পি স্কিন। বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গরুর চিকিৎসা চালাতে খামারিরা হিমশিম খাচ্ছে। সামনে ঈদ, অথচ গরু বিক্রি তো দূরের কথা, বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত অন্তত ৫০০ গরু আক্রান্ত হয়েছে। রোগটির এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক বা চিকিৎসা নেই, তবে প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ইউসুফ আলী সরকার বলেন, লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। শুরুতে গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, এরপর শরীরে গুটি ওঠে। অনেক সময় তা ফেটে রক্ত বের হয়। এতে গরুর খাওয়া কমে যায়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, এই রোগে ভেটেরিনারি সার্জনের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা বিপজ্জনক। গরু আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে এবং আলাদা করে রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঈদের আগে গঙ্গাচড়ায় লাম্পি স্কিন রোগের সংক্রমণ, দিশেহারা খামারিরা

আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

ঈদুল আজহা সামনে রেখে গবাদি পশুর কেনাবেচা শুরু হলেও রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেখা দিয়েছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) নামের এক ভাইরাসজনিত রোগ। ইতোমধ্যেই উপজেলার পাঁচ শতাধিক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। মারা গেছে কয়েকটি গরু। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় খামারি ও কৃষকরা।
বুধবার (৭ মে) সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পাইকান ঢিং পাড়ার কৃষক আসমা খাতুন বলেন, আমার এলাকায় অনেকের গরুই এই রোগে আক্রান্ত। আমরা কেউ বুঝতে পারছি না কীভাবে সামাল দেবো।একই এলাকার খামারি বুলু মিয়া বলেন, ঈদের জন্য একটি গরু প্রস্তুত করছিলাম। গত সপ্তাহে সেটি হঠাৎ ফুলে যেতে থাকে। পরে ডাক্তার জানায় এটা লাম্পি স্কিন। বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রতিদিন রোগের প্রকোপ বাড়ছে। গরুর চিকিৎসা চালাতে খামারিরা হিমশিম খাচ্ছে। সামনে ঈদ, অথচ গরু বিক্রি তো দূরের কথা, বাঁচানোই দায় হয়ে পড়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ পর্যন্ত অন্তত ৫০০ গরু আক্রান্ত হয়েছে। রোগটির এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক বা চিকিৎসা নেই, তবে প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ইউসুফ আলী সরকার বলেন, লাম্পি স্কিন একটি ভাইরাসজনিত রোগ। শুরুতে গরুর শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, এরপর শরীরে গুটি ওঠে। অনেক সময় তা ফেটে রক্ত বের হয়। এতে গরুর খাওয়া কমে যায়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, এই রোগে ভেটেরিনারি সার্জনের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা বিপজ্জনক। গরু আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে এবং আলাদা করে রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন