০৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

ঈদ ও রমজান: বিয়ানীবাজারে অপরাধ কম, জনমনে স্বস্তি

সরওয়ার খান:
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৪০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।

রমজান ও ঈদকে ঘিরে বিয়ানীবাজারের জনমনে বেশ শঙ্কা ছিল। কিন্তু না, তেমন কিছুই হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপজেলার কোথাও উল্লেখ করার মতো অপরাধমূলক কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের গত হওয়া রমজানে সামাজিক অস্থিরতাও চোখে পড়েনি। গ্রামে-গ্রামে সংঘর্ষ, জমিজমা নিয়ে বিরোধের তথ্যও জানা যায়নি। ঈদে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ড ও লুটতরাজহীন এমন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বহুবছর দেখেননি বিয়ানীবাজারবাসী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় এবার স্বস্তিতে ঈদ করতে পেরে খুশি উপজেলার মানুষ। যদিও ঈদের একদিন আগে পৌরশহরের দক্ষিণবাজারে এক মহিলার সাথে ফল বিক্রেতার অপ্রীতিকর ঘটনা বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সুজন’র সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন জানান, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রমজান ও ঈদে বিয়ানীবাজারের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ঈদ বাজারে কেনাকাটা থেকে শুরু করে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা, মার্কেট-শপিংমল ও বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে অন্যবারের তুলনায় এবারে উপজেলার জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।

রমজান ও ঈদকে ঘিরে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পেট্রোলিং বৃদ্ধি করে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। রমজানের পূর্বে ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্নার সভাপতিত্বে আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ব্যাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে ফুটপাত উচ্ছেদ না করায় দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষায় তৎপর ছিল বিজিবি, র্যাবও। সীমান্তে এক অভিযানে বিজিবি প্রায় ১০ হাজার ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। পৌরশহরের ফৈয়াজ মার্কেটে র্যাবের অভিযানে মাদকসহ ৪ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়মিত ও গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী ধরতে তৎপর ছিল পুলিশ।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘এবারের রমজান-ঈদে বাসাবাড়ি, বাজার, মার্কেট, মহাসড়কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অপরাধ তুলনামূলক কম হয়েছে। সাধারণ মানুষ আইন ও পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েছে। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে, আমরা সফল হয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঈদ ও রমজান: বিয়ানীবাজারে অপরাধ কম, জনমনে স্বস্তি

আপডেট সময়ঃ ১০:৪০:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

রমজান ও ঈদকে ঘিরে বিয়ানীবাজারের জনমনে বেশ শঙ্কা ছিল। কিন্তু না, তেমন কিছুই হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কা থাকলেও দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উপজেলার কোথাও উল্লেখ করার মতো অপরাধমূলক কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের গত হওয়া রমজানে সামাজিক অস্থিরতাও চোখে পড়েনি। গ্রামে-গ্রামে সংঘর্ষ, জমিজমা নিয়ে বিরোধের তথ্যও জানা যায়নি। ঈদে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ড ও লুটতরাজহীন এমন স্বাভাবিক পরিস্থিতি বহুবছর দেখেননি বিয়ানীবাজারবাসী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় এবার স্বস্তিতে ঈদ করতে পেরে খুশি উপজেলার মানুষ। যদিও ঈদের একদিন আগে পৌরশহরের দক্ষিণবাজারে এক মহিলার সাথে ফল বিক্রেতার অপ্রীতিকর ঘটনা বেশ আলোচিত হয়ে ওঠে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা সুজন’র সভাপতি এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন জানান, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের রমজান ও ঈদে বিয়ানীবাজারের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। ঈদ বাজারে কেনাকাটা থেকে শুরু করে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফেরা, মার্কেট-শপিংমল ও বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে অন্যবারের তুলনায় এবারে উপজেলার জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।

রমজান ও ঈদকে ঘিরে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পেট্রোলিং বৃদ্ধি করে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী। রমজানের পূর্বে ইউএনও গোলাম মুস্তাফা মুন্নার সভাপতিত্বে আইনশৃংখলা কমিটির সভায় ব্যাপক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে ফুটপাত উচ্ছেদ না করায় দিনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আইনশৃংখলা রক্ষায় তৎপর ছিল বিজিবি, র্যাবও। সীমান্তে এক অভিযানে বিজিবি প্রায় ১০ হাজার ইয়াবাসহ একজনকে গ্রেফতার করে। পৌরশহরের ফৈয়াজ মার্কেটে র্যাবের অভিযানে মাদকসহ ৪ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়। নিয়মিত ও গ্রেফতারী পরোয়ানার আসামী ধরতে তৎপর ছিল পুলিশ।

বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফ উজ্জামান বলেন, ‘এবারের রমজান-ঈদে বাসাবাড়ি, বাজার, মার্কেট, মহাসড়কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। অপরাধ তুলনামূলক কম হয়েছে। সাধারণ মানুষ আইন ও পুলিশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েছে। সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে, আমরা সফল হয়েছি।’

নিউজটি শেয়ার করুন