০৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

নৌকা তৈরিতে চার প্রজন্ম: বিয়ানীবাজারের আতা’র সাফল্যের গল্প, আয় ৫ লাখ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৫৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে।

চার প্রজন্ম থেকে নৌকা তৈরী করে সংসার চলে আলতাফ হোসেন আতার। দাদার হাত ধরে তাদের নৌকা তৈরীর পেশায় যাত্রা শুরু। প্রয়াত পিতা কুতুব উদ্দিনের কাছ থেকে ১২ বছর বয়সে তাঁর নৌকা তৈরীর হাতেখড়ি। পিতার পথ অনুস্মরণ করে পুত্র পারভেজ আহমদ নৌকা তৈরীর দক্ষতা অর্জন করে এখন পিতাকে সহযোগিতা করছেন।নদী মাতৃক এ দেশে এক সময় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌকা। যুগ বদলেছে নৌকার জায়গা নিয়েছে যানবাহন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এ পেশা যুক্তি থাকা অধিকাংশ মিস্ত্রি নৌকার তৈরীর পেশা ছেড়ে অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও আলতাফ হোসেন আতা এ পেশা ছেড়ে যাননি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম শুধু নৌকা তৈরী করেই সংসার সামলেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মইয়াখালি এলাকার আলতাফ হোসেন আতা প্রতি বছর নতুন নৌকা তৈরী করেন ৩০ থেকে ৩৫টি। একই সময়ে আরো জনা বিশেক পরাতন নৌকা মেরামত করেন। নৌকা তৈরী ও মেরামত করে তিনি বছরে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লক্ষ আয় করেন। এ আয় থেকে তাঁর ৬ জনের সংসার ভালভাবেই চলছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে হাকালুকি হাওর পর্যন্ত নৌকার সুদক্ষ কারিগর হিসাবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আগের মতো বড় নৌকা আর তৈরী হয় না। নৌকা তৈরীর প্রধান কাঠ জারুল না পাওয়ায় বিকল্প কাঠ দিয়ে তৈরী হচ্ছে ছোট ছোট আকারের নৌকা।সারা বছর জুড়ে নৌকা তৈরীর করেন আলতাফ হোসেন আতা, কখনো কখনো হাপিয়ে উঠলে বিশ্রাম নেন, আবার শুরু করেন চার প্রজন্মের এ পেশা। দেশ যতই উন্নত হোক, সড়ক যোগাযোগে যতই আধুনিকতা যুক্ত হোক নদী মাতৃক এ দেশে নৌকার প্রচলন থাকবেই। যার কারণে আতাউর রহমান আতা তাঁর প্রজন্মের পেশাকে ধরে রাখতে পারবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নৌকা তৈরিতে চার প্রজন্ম: বিয়ানীবাজারের আতা’র সাফল্যের গল্প, আয় ৫ লাখ

আপডেট সময়ঃ ১১:৫৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

চার প্রজন্ম থেকে নৌকা তৈরী করে সংসার চলে আলতাফ হোসেন আতার। দাদার হাত ধরে তাদের নৌকা তৈরীর পেশায় যাত্রা শুরু। প্রয়াত পিতা কুতুব উদ্দিনের কাছ থেকে ১২ বছর বয়সে তাঁর নৌকা তৈরীর হাতেখড়ি। পিতার পথ অনুস্মরণ করে পুত্র পারভেজ আহমদ নৌকা তৈরীর দক্ষতা অর্জন করে এখন পিতাকে সহযোগিতা করছেন।নদী মাতৃক এ দেশে এক সময় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল নৌকা। যুগ বদলেছে নৌকার জায়গা নিয়েছে যানবাহন। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় এ পেশা যুক্তি থাকা অধিকাংশ মিস্ত্রি নৌকার তৈরীর পেশা ছেড়ে অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও আলতাফ হোসেন আতা এ পেশা ছেড়ে যাননি। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম শুধু নৌকা তৈরী করেই সংসার সামলেছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মইয়াখালি এলাকার আলতাফ হোসেন আতা প্রতি বছর নতুন নৌকা তৈরী করেন ৩০ থেকে ৩৫টি। একই সময়ে আরো জনা বিশেক পরাতন নৌকা মেরামত করেন। নৌকা তৈরী ও মেরামত করে তিনি বছরে সাড়ে চার থেকে পাঁচ লক্ষ আয় করেন। এ আয় থেকে তাঁর ৬ জনের সংসার ভালভাবেই চলছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলার গন্ডি পেরিয়ে হাকালুকি হাওর পর্যন্ত নৌকার সুদক্ষ কারিগর হিসাবে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। তবে আগের মতো বড় নৌকা আর তৈরী হয় না। নৌকা তৈরীর প্রধান কাঠ জারুল না পাওয়ায় বিকল্প কাঠ দিয়ে তৈরী হচ্ছে ছোট ছোট আকারের নৌকা।সারা বছর জুড়ে নৌকা তৈরীর করেন আলতাফ হোসেন আতা, কখনো কখনো হাপিয়ে উঠলে বিশ্রাম নেন, আবার শুরু করেন চার প্রজন্মের এ পেশা। দেশ যতই উন্নত হোক, সড়ক যোগাযোগে যতই আধুনিকতা যুক্ত হোক নদী মাতৃক এ দেশে নৌকার প্রচলন থাকবেই। যার কারণে আতাউর রহমান আতা তাঁর প্রজন্মের পেশাকে ধরে রাখতে পারবেন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।

নিউজটি শেয়ার করুন