পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে আল হারামাইন পারফিউমস -এর উদ্যোগে বৃহৎ কোরবানির আয়োজন।

- আপডেট সময়ঃ ০৮:১০:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে।

ঈদ মানেই আনন্দ, আর সেই আনন্দ যেন প্রবাসে থেকেও হৃদয়ের অন্তস্থলে বাজে নিজের দেশের সুরে—ঠিক তেমনই প্রতি বছরই এক আবেগঘন দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে উঠে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমান।
বিশ্ববিখ্যাত সুগন্ধি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আল হারামাইন পারফিউমস প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদুল আযহা উপলক্ষে আয়োজন করে বিশাল কোরবানির উৎসব। শতাধিক গরু, দুম্বা,উট সহ খাসি কোরবানি দিয়ে তা বিতরণ করা হয় হাজারো প্রবাসী শ্রমিক, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে।
এই মহৎ আয়োজনে নেতৃত্ব দেন আল হারামাইন গ্রুপ এবং এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সিআইপি মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির—সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার এক গর্বিত সন্তান, যিনি শুধু সফল ব্যবসায়ী নন, বরং মানবিক মূল্যবোধের এক উজ্জ্বল প্রতীকও।
প্রতিষ্ঠানটির আজমানস্থ প্রধান কার্যালয়ের প্রাঙ্গণজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ, সুশৃঙ্খলভাবে কোরবানি, গোশত প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণ—সব মিলিয়ে ছিল এক ব্যতিক্রমী মানবিক চিত্র। শত শত কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে প্রবাসে থাকা হাজারো মানুষকে অনুভব করিয়ে দেয়, “আমরা একা নই, প্রবাসেও আমরা পরিবারের অংশ।”
মোনাজাতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই আয়োজন ছিল ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে ভরপুর।
মাহতাবুর রহমান নাসির বলেন, “প্রবাসে থাকা মানুষগুলো আমাদের পরিশ্রমী হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি। তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়া আমার দায়িত্ব মনে করি। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই আমরা এই আয়োজন করে থাকি।”
অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি আবেগঘন কণ্ঠে বলেন,
“এই আয়োজন আমাদের মনে করিয়ে দেয় দেশের ঈদের সেই প্রাণের ছোঁয়া, যেখানে মা-বাবা, ভাই-বোনের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয় কোরবানির আনন্দ। আমরা যেন প্রবাসে থেকেও নিজের বাড়ির উঠোনে আছি।”
আল হারামাইন গ্রুপ এবং এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব মাহতাবুর রহমান , বাংলাদেশে ব্যাংকিং, শিক্ষা, চা, রিয়েল এস্টেট এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিনিয়োগের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিক্ষা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন, কারণ এটি তাদের ব্যবসার পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ করছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু করা আল হারামাইন পারফিউমস আজ বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত একটি ব্র্যান্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাত ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির শাখা রয়েছে সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান, কাতার, বাহরাইন, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে।
এই কোরবানির আয়োজন শুধু একটি ধর্মীয় কার্যক্রম নয়, বরং প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এটি হয়ে উঠেছে আশার আলো, ভালোবাসার প্রতিচ্ছবি এবং প্রিয় মাতৃভূমির এক প্রীতিময় ছায়া।