০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আরেকটি স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে লাওসের পথে মেয়েরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:২০:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে।

এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে অংশ নিতে লাওসের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। শনিবার (২ আগষ্ট) দুপুরে ঢাকা ছাড়ে আফঈদা-স্বপ্নাদের বহনকারী বিমান।

ক’দিন আগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার বয়সভিত্তিক এই ফুটবল আসরে যে দলটিকে খেলিয়েছিলেন কোচ পিটার বাটলার, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের জন্য সেই দলটাকেই ধরে রেখেছেন তিনি। কোনো পরিবর্তন নেই দলে।

সাফ চলাকালে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ছিল মেয়েরা। সাফ শেষ হয়ে গেলেও তাদের একই হোটেলে রেখেছিল বাফুফে। উদ্দেশ্য উন্নত জায়গায় থেকে ভালো প্রস্তুতি।

৬ থেকে ১০ আগস্ট অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। ‘এইচ’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও স্বাগতিক লাওস ছাড়া আরও রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও পূর্ব তিমুর।

৬ আগস্ট স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ৮ আগস্ট পূর্ব তিমুর ও ১০ আগস্ট মুখোমুখি হবে দক্ষিণ কোরিয়ার।

মোট ৩৩টি দল আট গ্রুপে ভাগ হয়ে এই বাছাই পর্বে অংশ নিচ্ছে। মূল পর্ব হবে ১২ দল নিয়ে। বাছাই পর্বের প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে তিনটি সেরা রানার্সআপ দল আগামী বছর এপ্রিলে থাইল্যান্ডে হতে যাওয়া মূল পর্বের ছাড়পত্র পাবে।

স্বাগতিক থাইল্যান্ড যদি নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন বা সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়, তাহলে চতুর্থ সেরা রানার্সআপ দলও মূল পর্বের ছাড়পত্র পাবে।

বাংলাদেশের গ্রুপে নিশ্চিতভাবেই দক্ষিণ কোরিয়া হট ফেভারিট। এশিয়ান ফুটবলেই তারা অনেক বড় শক্তি। অন্যদিকে লাওস স্বাগতিক হওয়ায় তাদের বিপক্ষে লড়াইও সহজ হবে না। পূর্ব তিমুর ধরা ছোঁয়ার মধ্যে থাকা দল। বাংলাদেশের মেয়েরা পূর্ব মিতুরের সঙ্গে লাওস ম্যাচের দিকে চোখ রাখছে।

দুদিন আগে এই বাছাই পর্ব উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া এই অঞ্চলের সেরা দল। নিঃসন্দেহে খুবই শক্তিশালী এবং টেকনিকেও অনেক এগিয়ে। তবে আমাদের প্রথম ম্যাচ লাওসের বিপক্ষে এবং এই ম্যাচটি হবে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচটি জিততে পারলে সামনে এগিয়ে যেতে আমাদের খুবই সুবিধা হবে।’

সিনিয়র জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারই এই আসরে বাংলাদেশেকে নেতৃত্ব দেবেন। ক’দিন আগের অনূর্ধ্ব-২০ সাফের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের টিমের বন্ডিং এখন অনেক ভালো। কারণ সাফে আমাদের ২৩ জন খেলোয়াড়ের সবাই গেম টাইম পেয়েছে। সবাই মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে যে এএফসিতে গিয়ে আমরা ভালো কিছু করবো।’

এই ভালো বলতে ঠিক কি বোঝাচ্ছেন আফঈদা? গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন বাদ থাক, সেরা চার রানার্সআপের একটি হয়ে কি কোয়ালিফাই করা সম্ভব? আফঈদার উত্তর ছিল এমন- ‘অবশ্যই আমরা এই লক্ষ্য নিয়ে যাবো যে, আমরা যেন কোয়ালিফাই করতে পারি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করবো।’

আফঈদার নেতৃত্বে কিছুদিন আগে সিনিয়র এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করেছে বাংলাদেশ। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া সিনিয়র এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবেন তারা। তার আগে বয়সভিত্তিক এই আসরটি খুব কাজে দেবে বলেও বিশ্বাস আফঈদার, ‘এই ম্যাচগুলো আমাদের জন্য খুবই কাজে দেবে। অস্ট্রেলিয়াতে আমরা উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে খেলবো। তার আগে কয়েকজন যদি দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে অনূর্ধ্ব-২০ এ খেলি, সেটা কাজে দেবে। কারণ এই দলের কয়েকজন অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া আসরে থাকবে। আমাদের জন্য এটা খুবই ভালো হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন