০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

আসছে বর্ষা, সিলেটের বিয়ানীবাজারসহ ভূমিধসের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে।

যদিও প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। তবু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষাকাল শুরু হয়নি। আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল। তবে সেই আষাঢ়ও আসছে। হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। এ অবস্থায় সিলেটে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও বাড়ছে।

বর্ষায় বন্যা আর ভূমিধস যেনো সিলেটবাসীর নিয়তি। বিষয়টি নিয়ে বরাবরই আতঙ্কে থাকেন সচেতন মহল। প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। তবে দুর্ঘটনার পর তোড়জোড় শুরু হয় মোটামুটি সব মহলে। গেলো বর্ষায়ইতো ভূমিধসে নিহত হলেন টিলাগড় এলাকার চামেলীবাগের বাবা- মা ও সন্তান।

এ অবস্থায় আবারও আসছে বর্ষাকাল। সোমবার ছিল ১৩ই জ্যৈষ্ঠ। সেই হিসাবে ১৯ দিন। তবে প্রকৃতি দিন তারিখ গুণে বিরূপ হয়না। যখন তখন ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে এবং সিলেট মহানগরীসহ আশপাশের পাহাড় বা টিলাপ্রবন এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটতে পারে। আর এতে প্রাণহানীর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা।

বিশেষ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের টিলাপ্রবণ এলাকা, হাওলাদারপাড়া, আখালিয়া, পীরমহল্লা, ব্রাহ্মণশাসন, জাহাঙ্গীরনগর, তারাপুর চা বাগান, নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, জোনাকী, ইসলামপুর মেজরটিলা, মংলিরপাড় এলাকায় বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েকশ’ পরিবার।

এছাড়া জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে সহস্রাধিক পরিবার বসবাস করছে।

বাংলাদেশ পরিবশে আইনবিদ সমিতির (বেলা) হিসাব মতে, সিলেট নগর, সদর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রায় ৪০০ পাহাড়-টিলা রয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকের উপর বা পাদেশে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন অনেক দর্রিদ মানুষ।

এ অবস্থায় বর্ষায় প্রাণহানী ঠেকাতে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে সিলেটের জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. আনোয়ারুজ্জামান বলেন, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে একটি তালিকা করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সচেতনতামূলক কার্র্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর অধিবাসীদের নিরপদের সরে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। খুব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় বা তার পাদদেশের অধিবাসীদের প্রয়োজনে উচ্ছেদের কথাও বলা হয়েছে।

এ ব্যপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, আমরা প্রচারণা শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি মাইকিংয়ের পাশাপাশি সিলেটের প্রথম জনপ্রিয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের চিন্তাভাবনাও আছে আমাদের।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াৎ বলেন, আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। প্রয়োজনে উচ্ছেদের কথাও জানাচ্ছি সবাইকে। আমাদের প্রস্তুতি আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আসছে বর্ষা, সিলেটের বিয়ানীবাজারসহ ভূমিধসের আশঙ্কা

আপডেট সময়ঃ ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

যদিও প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে। তবু এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষাকাল শুরু হয়নি। আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল। তবে সেই আষাঢ়ও আসছে। হাতে আছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। এ অবস্থায় সিলেটে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও বাড়ছে।

বর্ষায় বন্যা আর ভূমিধস যেনো সিলেটবাসীর নিয়তি। বিষয়টি নিয়ে বরাবরই আতঙ্কে থাকেন সচেতন মহল। প্রশাসনের তৎপরতা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। তবে দুর্ঘটনার পর তোড়জোড় শুরু হয় মোটামুটি সব মহলে। গেলো বর্ষায়ইতো ভূমিধসে নিহত হলেন টিলাগড় এলাকার চামেলীবাগের বাবা- মা ও সন্তান।

এ অবস্থায় আবারও আসছে বর্ষাকাল। সোমবার ছিল ১৩ই জ্যৈষ্ঠ। সেই হিসাবে ১৯ দিন। তবে প্রকৃতি দিন তারিখ গুণে বিরূপ হয়না। যখন তখন ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে এবং সিলেট মহানগরীসহ আশপাশের পাহাড় বা টিলাপ্রবন এলাকাগুলোতে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটতে পারে। আর এতে প্রাণহানীর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা।

বিশেষ করে সিলেট সিটি করপোরেশনের টিলাপ্রবণ এলাকা, হাওলাদারপাড়া, আখালিয়া, পীরমহল্লা, ব্রাহ্মণশাসন, জাহাঙ্গীরনগর, তারাপুর চা বাগান, নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, জোনাকী, ইসলামপুর মেজরটিলা, মংলিরপাড় এলাকায় বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েকশ’ পরিবার।

এছাড়া জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে সহস্রাধিক পরিবার বসবাস করছে।

বাংলাদেশ পরিবশে আইনবিদ সমিতির (বেলা) হিসাব মতে, সিলেট নগর, সদর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় প্রায় ৪০০ পাহাড়-টিলা রয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকের উপর বা পাদেশে ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন অনেক দর্রিদ মানুষ।

এ অবস্থায় বর্ষায় প্রাণহানী ঠেকাতে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু করেছে সিলেটের জেলা প্রশাসন।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক সার্বিক মো. আনোয়ারুজ্জামান বলেন, আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে একটি তালিকা করেছি। সেই তালিকা অনুযায়ী সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলাগুলোতে সচেতনতামূলক কার্র্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর অধিবাসীদের নিরপদের সরে যাওয়ার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। খুব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় বা তার পাদদেশের অধিবাসীদের প্রয়োজনে উচ্ছেদের কথাও বলা হয়েছে।

এ ব্যপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাই রাফিন সরকার বলেন, আমরা প্রচারণা শুরু করেছি। খুব তাড়াতাড়ি মাইকিংয়ের পাশাপাশি সিলেটের প্রথম জনপ্রিয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের চিন্তাভাবনাও আছে আমাদের।

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াৎ বলেন, আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। প্রয়োজনে উচ্ছেদের কথাও জানাচ্ছি সবাইকে। আমাদের প্রস্তুতি আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন