কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে পাথর হরিলুট বন্ধের দাবী

- আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ৮৯ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটে নিলামের কাগজপত্রপূঁজি করে কানাইঘাটের লোভাছড়া পাথর কোয়ারীতে হরিলুট পাথর অপসরণের কার্যক্রম বন্ধের দাবীতে গত ০৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পরিচালক পরিবেশ অধিদপ্তর, সিলেটের পুলিশ সুপার, সিলেট জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কার্যালয়ের একান্ত সচিব, সিলেট বিভাগীয় সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, পরবর্তীতে পরিচালক খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো বরাবরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছেন কানাইঘাটের ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মৃত মাহমুদ আলীর পুত্র নাজিম উদ্দিন।
তিনি দরখাস্তে উল্লেখ করেন, সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লোভাছড়া পাথরকোয়ারী ২০২০ সালে সরকারিভাবে পাথর উত্তোলন করা বন্ধ হয়। তৎকালীন সময় লোভাছড়া পাথরকোয়ারীতে পরিবেশ অধিদপ্তর এর ভ্রাম্যমান আদালতে পরিচালনার মাধ্যমে ২০২০ সালের জুলাই মাসের নদীর দক্ষিণ অংশে ৪৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৪৮ শত ঘনফুট পাথর ও নদীর উত্তর অংশে ৬১ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৪০ শত ঘনফুট পাথর মোট ১ কোটি ০৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৮৮শত ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জব্দকৃত পাথর নিলামের জন্য প্রকাশ্যে নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এরই জের ধরে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাবেক ইজারা গ্রহনকারী সহ অন্যন্যারা মহামান্য হাইকোর্টে একাদিকবার রিট পিটিশন দায়ের করেন। আইনি জটিলতা সমাধানের পর জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিগত ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে লোভাছড়া পাথরকোয়ারীতে স্তুপ করা জব্দকৃত ৪৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১১৩ শত ঘনফুট পাথর বিক্রয় করার জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। মেসার্স পিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসান চৌধুরী (৩৪) এবং তার সহযোগি আওয়ামী দোসর তমিজ উদ্দিন (৪০), কামাল উদ্দিন (৪৫), ৯টি শর্তসাপেক্ষে নিলাম খরিদের মাধ্যমে লোভাছড়া পাথরকোয়ারী স্তুপ করা জব্দকৃত ৪৪ লক্ষ ২৩ হাজার ১১৩ শত ঘনফুট পাথর প্রাপ্ত হন। গ্রহীতা গিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠান নিলামের ৯টি শর্তাবলির মধ্যে নিলামের ১টি শর্ত যথাযথভাবে পালন করে না। নিলামের কার্যাদেশ মতে নিলাম প্রাপ্তির ৪৫ দিনের মধ্যে নিজ খরচে ও নিজ উদ্যোগে নিলামের ক্রয়কৃত পাথর অপসারন করতে হবে। মেসার্স পিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসান চৌধুরী (৩৪) এবং তাঁর সহযোগি আওয়ামী দোসর তমিজ উদ্দিন (৪০), কামাল উদ্দিন (৪৫), তারা নিলামকৃত পাথর অপসারন না করে ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০/৬০ লক্ষ ঘনফুট পাথর লোভাছড়া কোয়ারী থেকে এবং কোয়ারী আশপাশ এলাকা থেকে উত্তোলন করে ও স্তুপ থেকে পাথর নিয়ে যায়।
তিনি দরখাস্তে আরো উল্লেখ করেন মেসার্স পিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসান চৌধুরী পরবর্তীতে নিলামকৃত পাথরের ৪৫ দিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নিলাম গ্রহনকারী আওয়ামী শাসন আমলের মতো লোভাছড়া পাথরকোয়ারীতে লুটপাট ও বেআইনি ভাবে চাঁদা আদায়ের লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিলামের সময় বৃদ্ধি জন্য একটি আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিলামের মেয়াদ আরো ৩০ দিন বর্ধিত করা হয়। যাহা ২৪ জুন ২০২৫ থেকে ২৩ জুলাই ২০২৫ সাল পর্যন্ত ছিল। বর্তমানে অবৈধ পন্থায় মেসার্স গিয়াস এন্টারপ্রাইজ নামীয় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী কামরুল হাসান চৌধুরী (৩৪) এবং তাঁর সহযোগি আওয়ামী দোসর তমিজ উদ্দিন (৪০), কামাল উদ্দিন (৪৫) এবং ২০/২৫ জন লোক পার্টনারশিপ হয়ে লোভাছড়ার পাথরকোয়ারীর লক্ষ লক্ষ পাথর অবৈধভাবে অপসরন করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রয় করে বড় অঙ্কের মুনাফা পাচ্ছে। অনদিকে সরকার রাজস্ব আয় থেকে সর্ম্পণ বঞ্চিত হচ্ছেন। লোভাছড়া পাথরকোয়ারী থেকে সকল ধরনের পাথর উত্তোলন ও অপসারন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।