১০:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ক্লিনিকে ঢুকে চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:১৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে।

আহত চিকিৎসক গোলাম রব্বানী

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে ঢুকে একজন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রায়হান উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। আহত চিকিৎসককে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে শহরের আনিসা হেলথ কেয়ার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত চিকিৎসকের নাম গোলাম রব্বানী (৩০)। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আহত চিকিৎসক গোলাম রব্বানী জানান, তিনি বিকেলে ক্লিনিকে এক নারীর আলট্রাসনোগ্রাম করছিলেন। এ সময় আলট্রাসনোগ্রাম কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রায়হান উদ্দিন। তিনি রায়হানকে দরজার সামনে থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তখন রায়হান তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে ক্লিনিকের অন্যরা তাকে শান্ত করেন। পরে রায়হান উদ্দিন তার স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাম শেষে চলে যান।

তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর রায়হান উদ্দিন আরেকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে তার কক্ষে ঢুকেন। চেয়ারে বসে চিকিৎসককে আগের ঘটনার জন্য ‘সরি’ বলতে বলেন রায়হান ও ওই যুবক। তিনি সরি বলতে অপারগতা প্রকাশ করার এক পর্যায়ে দুজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন, তখন তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি চিৎকার দিলে ক্লিনিকের অন্যরা ছুটে আসেন। তখন রায়হান ও তার সঙ্গে থাকা যুবক সেখান থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মো. রায়হান উদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার পরিবারের অন্য সদস্যের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি (রায়হান) আমার ফেসবুক আইডিতে বক্তব্য দিয়েছি। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। আলট্রাসনোগ্রাম কক্ষের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করি। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সেখানে দায়িত্বে থাকা একজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওই ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ করেন, পরে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে।’ কলমের আঘাতে তার শরীরেরও বিভিন্নস্থানে জখম হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে কারও অন্যায় কোনো আচরণের দায় সংগঠন নেবে না।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেছেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আহতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ক্লিনিকে ঢুকে চিকিৎসককে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে

আপডেট সময়ঃ ০৮:১৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জ পৌর শহরের একটি ক্লিনিকে ঢুকে একজন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রায়হান উদ্দিনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। আহত চিকিৎসককে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে শহরের আনিসা হেলথ কেয়ার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। আহত চিকিৎসকের নাম গোলাম রব্বানী (৩০)। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আহত চিকিৎসক গোলাম রব্বানী জানান, তিনি বিকেলে ক্লিনিকে এক নারীর আলট্রাসনোগ্রাম করছিলেন। এ সময় আলট্রাসনোগ্রাম কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রায়হান উদ্দিন। তিনি রায়হানকে দরজার সামনে থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। তখন রায়হান তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। পরে ক্লিনিকের অন্যরা তাকে শান্ত করেন। পরে রায়হান উদ্দিন তার স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাম শেষে চলে যান।

তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর রায়হান উদ্দিন আরেকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসে তার কক্ষে ঢুকেন। চেয়ারে বসে চিকিৎসককে আগের ঘটনার জন্য ‘সরি’ বলতে বলেন রায়হান ও ওই যুবক। তিনি সরি বলতে অপারগতা প্রকাশ করার এক পর্যায়ে দুজন মিলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন, তখন তিনি মেঝেতে পড়ে যান। এ সময় তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তিনি চিৎকার দিলে ক্লিনিকের অন্যরা ছুটে আসেন। তখন রায়হান ও তার সঙ্গে থাকা যুবক সেখান থেকে চলে যায়।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য মো. রায়হান উদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার পরিবারের অন্য সদস্যের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে রায়হান উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি (রায়হান) আমার ফেসবুক আইডিতে বক্তব্য দিয়েছি। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। আলট্রাসনোগ্রাম কক্ষের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করি। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সেখানে দায়িত্বে থাকা একজনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ওই ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর আক্রমণ করেন, পরে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে।’ কলমের আঘাতে তার শরীরেরও বিভিন্নস্থানে জখম হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে কারও অন্যায় কোনো আচরণের দায় সংগঠন নেবে না।

সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেছেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে আহতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন