গণঅধিকার পরিষদের কমিটির গঠনের একদিন পরেই একযোগে ১২ নেতার পদত্যাগ!

- আপডেট সময়ঃ ১২:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
- / ০ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠনের একদিন পরেই সেই কমিটিকে ‘পকেট’ ও ‘ভুয়া’ অ্যাখ্যায়িত করে ঘোষিত কমিটি থেকে একযোগে ১২জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে তাৎক্ষনিক এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের দলীয় প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে একসাথে তারা পদত্যাগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেয়া ১২ নেতা হলেন- তাজ উদ্দিন, সুহেল আহমদ, এইম এম হাসান, আব্দুর রহিম, শাকের আহমদ শাকিল, মর্তুজ আলী, শাহাব উদ্দিন, শুয়াইব আহমদ, খালেদ আহমদ, এমরান আহমদ, আমীর আলী ও মিজানুর রহমান।
এসময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ নেতা এনামুল হক সাজু, দুলাল আহমদ, বেলাল মিয়া, মাসুক উদ্দিন, কবির আহমদ, এনামুল হক পাপ্পু, জামিল হোসেন ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম, বিয়ানীবাজার উপজেলা গণঅধিকার পরিষদ নেতা বিবেকানন্দ দাস, পঙ্কজ কুমার চৌধুরী, আলী এমরান সুমন, আব্দুস শুক্কুর, আবুল কাশেম পল্লব, আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পদত্যাগকারী নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সাথে রয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, গত ১৫ জুলাই গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলা কর্তৃক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সৈয়দ আলবাব হুসাইনকে আহবায়ক ও আব্দুস সামাদকে সদস্য সচিব করে আগামী ৬ মাসের জন্য গোলাপগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক কমিটি অনুমোদন প্রদান করেছেন, যা আমাদের সকলের মতামতের বাইরে এবং অপরিচিত লোকজন দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা এই কমিটি মানি না। এটি একটি পকেট ও ভুয়া কমিটি। কমিটির নেতৃত্ব নির্বাচনে পরীক্ষিত ও মাঠের নেতাদের বাদ দিয়ে অযোগ্য ও অপরিচিত লোকদের দিয়ে সাজানো হয়েছে।
বক্তারা বলেন, আমরা আহবায়ক সৈয়দ আলবাব হুসাইন এবং সদস্য সচিব আবদুস সামাদকে দিয়ে কোনো নেতৃত্বের ভূমিকাকে স্বীকৃতি প্রদান করতে পারবো না। আমরা তাদেরকে চিনি না, এমনকি তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততাও নেই। আমরা দীর্ঘ সময় ধরে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) গোলাপগঞ্জ-এর সাথে এডভোকেট জাহিদুর রহমানের নেতৃত্বে যুক্ত রয়েছি। এই সময়কালে উক্ত দুই ব্যক্তির কোনো প্রকার কার্যকরী অংশগ্রহণ, অবদান বা সম্পৃক্ততা আমাদের জানা নেই।
তারা আরও বলেন, আমাদের নাম একটি অন্য কমিটির সাথে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অনৈতিকভাবে সংযুক্ত করা হয়েছে, যার গঠন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের কোনো পূর্বজ্ঞান বা সম্মতি ছিল না। আমরা এই অপরিচিত ব্যক্তিদের নেতৃত্ব, কর্তৃত্ব বা প্রতিনিধিত্ব কোনোভাবেই মেনে নেব না। আমরা অবিলম্বে এই তথাকথিত কমিটি থেকে আমাদের পদত্যাগের ঘোষণা প্রদান করছি।
জানা গেছে, এর আগে গত ১৫ জুলাই গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলার আহবায়ক রহমতে এলাহী লস্কর নাইম ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন স্বাক্ষরিত এক দলীয় প্যাডে গোলাপগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক কমিটি ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। সেখান আহবায়ক হিসাবে সৈয়দ আলবাব হুসাইন ও সদস্য সচিব আব্দুস সামাদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এদিকে, একযোগে ১২ নেতার পদত্যাগের বিষয়টি জানেন না বলে জানান গণঅধিকার পরিষদ সিলেট জেলার সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন সুজন। তিনি বলেন, ‘কমিটি থেকে পদত্যাগ করার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া আমার কাছে পদত্যাগের ব্যাপারে কেউ আসেনি কিংবা জেলা কমিটিকে অবহিত করেননি। আমাদের ঘোষিত কমিটির সকলেই মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।’ তবে যদি কেউ বা কয়েকজন পদত্যাগ করেও থাকেন তাহলে পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।