রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৩০ ফুট মাটি খনন করেও তার অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি উদ্ধারকর্মীরা। তবুও শিশুটিকে জীবিত ফিরিয়ে আনতে নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল।
জানা গেছে, নলকূপের জন্য খোঁড়া গর্তটির গভীরতা প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। ধারণা করা হচ্ছে, এই দীর্ঘ গর্তের যেকোনো স্থানে আটকে থাকতে পারে শিশুটি।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, শিশুটি যে গর্তে পড়েছে তার পাশেই এস্কেভেটর দিয়ে ৩০ ফুটের বেশি গভীর খনন করা হয়েছে। সেখান থেকে মূল গর্তের দিকে সুরঙ্গ তৈরির কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, "নলকূপের গর্তটি অত্যন্ত গভীর, তাই শিশুটি ভেতরে যেকোনো জায়গায় আটকে থাকতে পারে।"
ফায়ার সার্ভিসের আরেক কর্মকর্তা মনজিল বলেন, “আমরা ১২ ইঞ্চি ডায়ামিটারের পাইপের ভেতর ৬ ইঞ্চি পাইপ ঢোকাই, যা প্রায় ৩৫ ফুট যেতেই আটকে যায়। কেন পাইপটি আর নিচে গেল না—সম্ভবত শিশুটি সেখানে আটকে থাকতে পারে। আমরা যদি সেখানে পৌঁছাতে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ ভালো খবর দিতে পারব।”
এদিকে তিনটি এস্কেভেটর দিয়ে খনন শেষে উদ্ধারকারীরা খোঁড়া গর্ত থেকে সুরঙ্গ তৈরি করে শিশুটি পড়া গভীর গর্তে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তবে পানি ও কাদার কারণে তাদের উদ্ধার কাজে চরম বেগ পেতে হচ্ছে।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কয়েক দফায় ৩০ ফুট গভীর পর্যন্ত ক্যামেরা নামানো হলেও ওপর থেকে পড়া মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটিকে দেখা যায়নি। তবে দুপুরে তার কান্নার শব্দ শোনা গিয়েছিল বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
উদ্ধার দল আশাবাদী, বাধা পেরিয়ে তারা শিশুটির কাছে পৌঁছাতে পারবে।
https://www.facebook.com/share/v/17rcoAT89y/
প্রধান সম্পাদক ঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন , নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন , বার্তা সম্পাদক ঃ মিসবাহ উদ্দিন
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225