০৭:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫

গোয়াইনঘাটে আল-আমিন হত্যাকাণ্ড: যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:২২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪০ বার পড়া হয়েছে।

জমি-জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র সিলেটের গোয়াইনঘাটে আহারকান্দিতে খুন হন আল-আমিন (৩০) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় আদালতে নিহতের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে এটিকে পরিকল্পিত খুন আখ্যা দিয়ে আল-আমিনের পরিবারকে অভিযুক্ত করে নুর হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি পাল্টা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সরেজমিন তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। উপজেলার আহারকান্দি গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে নিহত আল আমিন এবং একই গ্রামের হাজী রুস্তুম আলী ছেলে নূর হোসেন (৬০) একই গ্রামের বাসিন্দা। জমি-জমা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের।

এ ঘটনার সরেজমিন তদন্তকালে স্থানীয়রা জানান, মূলত একটি জায়গা নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। যে জায়গার জের ধরে বিরোধ, সেই জায়গাটি নিহত আল আমিনের চাচি আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক নূর হোসেন খোকা। বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী একাধিক সালিশ বৈঠক শেষে নূর হোসেন খোকার মালিকানা বিষয়ে অবগত রয়েছেন। সম্প্রতি ওই ভূমিতে নূর হোসেন ঘর নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এতে নূর হোসেনকে বাধা প্রদান করেন আনোয়ারা বেগমের ছেলে ও আল আমিনের চাচাতো ভাই শাহেদ আহমদ। এ সময় নূর হোসেন খোকা,শাহেদ আহমদকে আদালতের নির্দেশ এবং বৈধ কাগজপত্র হাতে থাকার বিষয়টি অবগত করলেও শাহেদ হোসেন চিৎকার চেচামেচি করে গ্রামবাসী জড়ো করেন। এ সময় গ্রামবাসীরা শাহেদকে নীরব থাকার অনুরোধ স্বত্বেও সে নূর হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ মেরে ফেলার হুমকী প্রদান করেন। পরে শাহেদের সাথে যোগ দেন ভাইসহ আত্মীয়-স্বজনরা। তারা এ সময় দল বেধে নূর হোসেনকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলে নূর হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন রুহেল এগিয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে শাহেদের আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ নূর হোসেন খোকার বাড়ির রাস্তার মুখ থেকে আক্রমণ করতে করতে নুর হোসেনের বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে এলোপাতারি মারামারির ঘটনায় অনেক হতাহত হয়। আহতদের মধ্যে আল আমিনও ছিলেন। পরে আল আমিনকে দ্রুত সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।

এ ঘটনার পর মুসলিম এবং শাহেদ গং ক্ষিপ্ত হয়ে নূর হোসেন খোকার বাড়িতে লুটপাট চালাতে থাকে। তাদের বাড়ি-ঘর দোকান পাট, বাড়ির গাছ-গাছালি সবকিছু তছনছ করে দেয়। এমনকি নূর হোসেন খোকার ভাগনা জাহাঙ্গীরের বাড়িতেও লুটপাট চালায়। সব মিলিয়ে মুসলিম ও শাহেদ গ্যাংরা প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে বলে নূর হোসেনের পরিবার দাবি করে। শুধু এখানেই শেষ নয়, শাহেদ ও মুসলিমের অনুসারীরা নূর হোসেন খোকার আত্মীয়-স্বজনদের যেখানে যেভাবে পাচ্ছে, সেভাবেই তাদের বাড়িঘরের ক্ষতিসাধনসহ আক্রমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে নতুন নেতৃত্বে শাওন ও আলম