গ্যাস পাওয়ার অপেক্ষা ফুরাচ্ছে না বিয়ানীবাজার বাসীর

- আপডেট সময়ঃ ০২:২১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ৯ বার পড়া হয়েছে।

বিয়ানীবাজার থেকে জাতীয় গ্রিড সঞ্চালন লাইনে প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে প্রায় আট মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এরপরও উপজেলার অন্তত: ৮০ ভাগ এলাকায় গ্যাসের সংযোগ নেই। ঠিক কবে নাগাদ এ অঞ্চলের পুরো এলাকায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ নিয়ে হতাশ ব্যবসায়ীসহ উপজেলার সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জোগান না থাকায় পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা নিয়ে এই অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
এসজিএফএল সূত্রে জানা গেছে, বিয়ানীবাজার গ্যাস ক্ষেত্রের দুটি কূপ আছে। এর মধ্যে ১ নম্বর কূপ থেকে ১৯৯১ সালে গ্যাস তোলা শুরু হয়। ২০১৪ সালে কূপটি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৬ সালে আবার গ্যাস উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষের দিকে আবার বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালের শুরু থেকেই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। এরপর বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধানকাজ চালিয়ে গ্যাসের মজুত পায়।
জানা যায়, ২০১২ সালে বিয়ানীবাজার উপজেলাজুড়ে গ্যাস সরবরাহের দাবীতে স্থানীয় জনগণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। গ্যাসের দাবিতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশও করেন। সুজন উপজেলা কমিটির সভাপতি এডভোকেট মো. আমান উদ্দিন বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহ নিয়ে বিয়ানীবাজারের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। গ্যাসের অভাবে এখানে শিল্পের সম্ভাবনাগুলো মুখ থুবড়ে পড়ছে।’
জানা যায়, বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপটি চার দশক আগের। ১৯৮১ সালে এ গ্যাস ফিল্ডে কূপ খনন শুরু হয়। এরপর গ্যাস ফিল্ডটি থেকে গ্যাস তোলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে। গ্যাস উত্তোলনের চারদশক পেরিয়ে গেলেও উপজেলার সর্বত্র গ্যাস সরবরাহ না হওয়ায় ব্যাথিত এ জনপদের মানুষ। পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিয়ানীবাজারের প্রায় ১৫ ভাগ পরিবারে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। শিল্পখাতের বিনিয়োগ পুরোটাই স্থবির।
সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো: আব্দুল জলিল বলেন, আগামী ১০ বছর বিয়ানীবাজারের গ্যাস কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। কূপটি থেকে দৈনিক ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে দৈনিক ১২৫ থেকে ১৩০ ব্যারেল কনডেন্স গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেয়ার বিষয়টি সরকারের সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।