০২:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

জকিগঞ্জের নোমান হত্যা কাণ্ড: সন্দেহভাজনরা লাপাত্তা

জকিগঞ্জ সংবাদদাতা:
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:২২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩৭ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের আলোচিত ব্যবসায়ী নোমান উদ্দিন হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া শ্যালক হানিফ আহমদ সুমনের রিমান্ড রোববার শেষ হচ্ছে। গত বুধবার আদালত সুমনের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। রোববার তার রিমান্ড শেষ হবে।

একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রিমান্ডে থাকাকালীন সুমন অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সুমন অধিকাংশ সময় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, নামাজ আদায় ও ইবাদতে মশগুল থেকে সময় পার করার চেষ্টা করছেন। তবে তদন্ত কর্মকর্তা নাছোড়বান্দা হয়ে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে সুমনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর থেকেই মামলার অন্য সন্দেহভাজনদের মধ্যে কয়েকজন গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন — এতিছামনগর পশ্চিম গঙ্গাজল গ্রামের মামই মিয়ার ছেলে ও সুমনের খালাতো ভাই সন্দেহভাজন মাজেদ আহমদ, চারখাই এলাকার সন্দেহভাজন তাসকিন আহমেদ তাজুল, ঘেছুয়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম কুটিলসহ আরও কয়েকজন।

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একাধিকবার অভিযান চালানো হলেও কাউকেই পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার রাতে এতিছামনগর এলাকায় অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ দেখে, মাজেদ আহমদের বাড়ি তালাবদ্ধ, পরিবারের কেউই সেখানে নেই। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুমনের রিমান্ড শুরুর পরপরই মাজেদ তার মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে পুরো পরিবারসহ আত্মগোপনে চলে যান। একইভাবে চারখাই এলাকার তাসকিন আহমেদ তাজুলও পলাতক রয়েছেন।

নোমান নিখোঁজের পর সুমনের সঙ্গে তার রহস্যজনক চলাচলের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই সূত্রেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোঁজা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

সর্বশেষ শুক্রবার গভীর রাতে ঘেছুয়া গ্রামের তুতু মিয়ার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম কুটিলের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রিয়াজুল ইসলাম কুটিল পালিয়ে যায়। ওই সময় কুটিলের বাড়িতে সুমনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল পাওয়া যায়। কুটিলের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি গ্রামের সমন্বয়ক মুনিমের। কিন্তু পুলিশ মুনিমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার কোনো মোটরসাইকেল নেই। এ নিয়ে পুলিশের সন্দেহ আরও বেড়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে রহস্যজনকভাবে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন আত্মগোপনে চলে গেছেন, যা তদন্তে জটিলতা ও নানা সন্দেহ তৈরি করছে। তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে সুমন অনেক প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি তার বোন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের কথার সঙ্গে সুমনের কথার গড়মিল পাওয়া গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন