১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জন্মদিনের উপহার নিয়ে ঝগড়া, স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করলো যুবক

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৩৫ বার পড়া হয়েছে।

ছেলের জন্মদিনের উপহারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া কলহের জেরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী দিল্লির রোহিনীতে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, দিল্লির রোহিনীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ছেলের জন্মদিনে দুই পরিবারের মধ্যে দেওয়া-নেওয়া উপহারকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিবাদ, যা শেষে রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।

পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে রোহিনীর সেক্টর-১৭ এলাকায় এক ব্যক্তি তার মা ও বোনের খুন হওয়ার বিষয়ে জরুরি ফোন করেন কেএনকে মার্গ থানায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কুসুম সিনহা (৬৩) ও তার মেয়ে প্রিয়া সেহগালের (৩৪) মরদেহ ঘরের ভেতর পড়ে থাকতে দেখে।

পুলিশের কাছে ফোন করেছিলেন মেঘ সিনহা (৩০)। তিনি জানান, গত ২৮ আগস্ট তার মা কুসুম নাতি চিরাগের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মেয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। ওই সময় প্রিয়া ও তার স্বামী যোগেশের মধ্যে উপহার নিয়ে তর্ক শুরু হয়। বিষয়টি মীমাংসা করতে কুসুম মেয়ের বাড়িতেই থেকে যান।

প্রিয়ার ভাই হিমালয় পিটিআইকে বলেন, আমার মা আগের দিন বোনের বাড়ি গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, পরদিন ফিরবেন। ফোনে কথা হলে জানিয়েছিলেন, বোন আর জামাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে। তিনি সেটা মিটমাট করে ফিরবেন। কিন্তু আর ফেরেননি।

‘পরদিন সকাল থেকে ফোন করেও কোনো সাড়া পাইনি। ভেবেছিলাম হয়তো ঘুমাচ্ছেন। দুপুরের দিকে যখন বাড়িতে যাই, তখন দরজার তালায় রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ হয়। তালা ভেঙে ঢুকে দেখি মা আর বোন রক্তে ভেসে পড়ে আছেন।’

তিনি আরও বলেন, আমরা বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সেখানে পৌঁছাই। আমার দুলাভাই তাদের খুন করে বাচ্চাদের নিয়ে পালিয়েছে। কে এমনটা করতে পারে? দাম্পত্য জীবনে সবারই ঝগড়া হয়, কিন্তু ১৭ বছরের সংসার ভেঙে স্ত্রী ও শাশুড়িকে খুন করা— এটা অকল্পনীয়, অমানবিক।

মেঘ অভিযোগ করেন, তার বোনের স্বামী যোগেশ সেহগাল তার স্ত্রী প্রিয়া ও শাশুড়ি কুসুমকে হত্যা করে সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, যোগেশকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা পোশাক ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সন্দেহজনক কাঁচি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহকেই হত্যার কারণ বলে মনে করছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন