জাল সনদ তৈরির অভিযোগে দুই তরুণের কারাদণ্ড, দোকান সিলগালা

- আপডেট সময়ঃ ১২:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৪৭ বার পড়া হয়েছে।

জন্মনিবন্ধন সনদে বয়স বাড়াতে এসএসসি পাসের জাল সনদ তৈরি এবং সহায়তার অভিযোগে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় দুই তরুণকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনি রায় এ দণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহিষের বাতান গ্রামের মো. স্বপন মিয়া (১৯) এবং সদর বাজারের মহসিন টেলিকম অ্যান্ড ফটোস্ট্যাট ডিজিটাল স্টুডিওর কর্মচারী শফিকুল ইসলাম রাব্বী (২০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের উকিলপাড়া এলাকায়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্বপন মিয়ার জন্মনিবন্ধন সনদে জন্মতারিখ ছিল ৩১ অক্টোবর ২০০৫। বয়স দুই বছর বাড়ানোর জন্য সংশোধিত নিবন্ধনে জন্মতারিখ দেখানো হয় ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর। প্রমাণস্বরূপ তিনি শফিকুলের সহায়তায় এসএসসি পাসের জাল সনদ তৈরি করেন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ওই সনদসহ ইউএনওর কার্যালয়ে আসেন স্বপন।
সনদে অসংগতি ধরা পড়লে ইউএনও স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে তাঁকে নিয়ে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে জাল সনদ তৈরির দোকানে যান। সেখান থেকে একটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়, যাতে এসএসসি পাসের জাল সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির প্রমাণ এবং এক চিকিৎসকের স্ক্যান করা স্বাক্ষর পাওয়া যায়। এ সময় স্বপন ও শফিকুল ঘটনাটি স্বীকার করেন। পরে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯–এর ৫০ ধারা অনুযায়ী তাঁদের ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রাত সোয়া আটটার দিকে দোকানটি সিলগালা করা হয়।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হবে।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় বলেন, জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়াতে জাল এসএসসি সনদ তৈরির ঘটনায় দুই তরুণকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একটি ল্যাপটপ জব্দ ও দোকানটি সিলগালা করা হয়েছে।