টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড

- আপডেট সময়ঃ ০৩:৪৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩১ বার পড়া হয়েছে।

মেয়েদের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে চার বছর ধরে দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ডটি নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ তারকা সোফি ডিভাইনের দখলে ছিল। তার ৩৬ বলের সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার কিরন নাবগিরে। মাত্র ৩৪ বলে তিনি সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। আন্তর্জাতিক নারী টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য দ্রুততম সেঞ্চুরির (৩৮ বল) রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিয়েন্দ্রা ডটিনের।
ভারতের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সিনিয়র ওমেন্স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে গতকাল (শুক্রবার) বিশ্বরেকর্ড গড়া ইনিংস খেলেছেন কিরন। ইতোমধ্যে ডানহাতি এই ব্যাটার ভারতের হয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যদিও ৪ ইনিংস খেলে বলার মতো কিছু করতে পারেননি তিনি। নাগপুরে গতকাল পাঞ্জাবের বিপক্ষে মহারাষ্ট্রের হয়ে খেলতে নেমে ৩৫ বলে ১০৬ রান করেন নাবগিরে।
তার ব্যাটে চড়ে মাত্র ৮ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে মহারাষ্ট্র। অবশ্য প্রতিপক্ষ পাঞ্জাবের পুঁজিটাও বড় ছিল না। আগে ব্যাট করতে নেমে তারা মাত্র ১১১ রান তুলেছিল। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সপ্তম বলেই আউট মহারাষ্ট্রের ওপেনার ইশ্বরি সাভকার। পরে মুক্তা মাগরেকে সঙ্গে নিয়ে ৮ ওভারে গন্তব্যে পৌঁছেছেন নাবগিরে। দলের ৯৪ শতাংশ রানই এসেছে বিশ্বরেকর্ড গড়া এই ব্যাটারের কাছ থেকে। অপর সঙ্গী মুক্তা ১০ বলে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুজনের জুটিতে আসে ১০৩ রান।দ্রুততম সেঞ্চুরির পথে ১৪টি চার ও ৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নাবগিরে। দ্রুততম সেঞ্চুরি তো করেছেন–ই, পাশাপাশি নারী টি-টোয়েন্টিতে তিনিই একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান যার স্ট্রাইকরেট ৩০০। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৩৮ বলে সেঞ্চুরি করেছেন ক্যারিবীয় ব্যাটার ডটিন। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টির হিসাবে তিনি অবস্থান করছেন কিরন নাবগিরে ও সোফি ডিভাইনের পর। এ ছাড়া বিগ ব্যাশে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেস হ্যারিস ও দ্য হান্ড্রেডে ইংল্যান্ডের ডেভিনা পেরিন সমান ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৩১ বছর বছর বয়সী নাবগিরের ভারত জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় ২০২২ সালে। ৬ ম্যাচে মাত্র ১৭ রান করেন সেখানে। ওই বছরই তিনি প্রথম আলোচনায় আসেন সিনিয়র ওমেন্স টি-টোয়েন্টি ট্রফিতে। যেখানে পুরো মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৫টি ছক্কা আসে কিরনের ব্যাটে। অরুণাচল প্রদেশের বিপক্ষে মহারাষ্ট্রের এই ব্যাটার ৭৬ বলে ১৬২ রানের একটি ইনিংসও খেলেছিলেন। ভারতের হয়ে সেটাই ছিল টি-টোয়েন্টিতে প্রথম কোনো নারী ক্রিকেটারের দেড়শ রানের মাইফলক। এ ছাড়া ওমেন্স টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জে করেন দ্রুততম (২৫ বলে) ফিফটি।