০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির চিঠি নিয়ে সিলেটে তোলপাড়

ডেস্ক নিউজ:
  • আপডেট সময়ঃ ১২:৪৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে।

চাঁদা দাবির একটি চিঠি নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। চিঠিটি দুই সপ্তাহ আগের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার সন্ধ্যায় চিঠিটি ছাড়া হয়। সিলেটের সাব-রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি দেয়া হয়। সেটি দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স’ নামের সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান। সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে- দুই সপ্তাহ আগে কয়েকজন যুবক সিলেটের নতুন যোগদান করা সাব-রেজিস্ট্রার মিনহাজ উদ্দিনের কাছে যায়। এ সময় তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি চিঠি সাব-রেজিস্ট্রারের হাতে দিয়ে সহযোগিতা চান। ওই সময় সাব-রেজিস্ট্রার চিঠি রেখে তাদের পরবর্তীতে যোগাযোগ করার কথা বলেন। চিঠিতে সাব-রেজিস্ট্রারকে এড্রেস করে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে মাহফুজুর রহমান লিখেন- ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ঐক্য (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স) এ বছর ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আমরা আহত ও নিহত শহীদদের সম্মানে এক স্মরণসভা, এতিম খানায় খাবার বিতরণ, জুলাই বিপ্লবের ছবি প্রদর্শনী এবং শহীদ ওয়াসিম-এর স্মৃতিচারণ সভার আয়োজন করতে যাচ্ছি।’ ‘অনুষ্ঠানটি সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিনে পরিণত হবে। এ আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, ব্যানার, পোস্টার, খাবার, মঞ্চসজ্জা, মিডিয়া কাভারেজ এবং অন্যান্য খরচের জন্য অর্থের প্রয়োজন। সুতরাং উক্ত উদ্দেশ্যে দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

চিঠিতে সুপারিশ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে সিলেটের জিপি এডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী, মহানগর পিপি এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, জেলা পিপি এডভোকেট আশিক উদ্দিনের নাম, সিল ও দস্তখত। এদিকে- কথা মতো পরের সপ্তাহে যুবকরা সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার যুবকদের অবগত করেন; এ সংক্রান্ত কোনো বরাদ্দ তার কাছে নেই। সুতরাং তিনি টাকা দিতে পারবেন না। তার এই কথা শুনে যুবকরা চলে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শেখ লোকমান আহমদ। তিনি মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘এক সপ্তাহ আগে টাকা নিতে ওই যুবকরা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে এসেছিল। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার টাকা না দেয়ায় তারা চলে যায়। কোনো কথা বাড়ায়নি।’ তিনি জানিয়েছে- ‘যারা চিঠি দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে টাকা নিতে এসেছিল তাদের কাউকে চিনেন না। তারা জুলাই আহত ও নিহতদের সহায়তায় কাজ করছে বলে জানিয়েছিল। যেহেতু তারা টাকার জন্য বেশি চাপাচাপি করেনি সে কারণে তাদের সঙ্গে আমরাও ভালো ব্যবহার করেছি।’ এদিকে চিঠিতে সত্যি সত্যি সিলেটে জিপি ও পিপিরা সুপারিশ করেছেন কিনা এ নিয়ে গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় তিনজনেরই। সিলেটের জিপি এডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘এই নামে কোনো সংগঠনকে টাকা দিতে আমি কোনো সুপারিশ করিনি। নিশ্চয়ই এখানে কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।’ সিলেট জেলার পিপি এডভোকেট আশিক উদ্দিন জানান- ‘সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠিতে কেউ দস্তখত নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। চাঁদা দাবির কোনো চিঠিতে আমরা দস্তখত দিতে পারি না এবং আমি ওই চিঠিতে দস্তখত দিয়েছি বলে মনে হয় না।’ তবে তিনি জানান- ‘বিভিন্ন সময় জুলাইয়ে আহত ও নিহতদের নামে অনেকেই আমাদের কাছে আসে। যেহেতু তারা ভুক্তভোগী। আমরা যথাসাধ্য তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা দেই।’

আশিক জানান- ‘কয়েকদিন আগে কিছু যুবক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি সরকারের তরফ থেকে জেলা প্রশাসক অনুদান দেন। সেখানে যোগাযোগ করতে তাদের পরামর্শ দিয়ে বিদায় করে দেই।’ চিঠিতে সুপারিশের দস্তখতকারী মহানগর পিপি এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন- ‘কিছু যুবক এসেছিল জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠির সুপারিশ করতে। আমি তখন খুব ব্যস্ত ছিলাম। যেহেতু তারা জুলাই যুদ্ধা বলেছে এ কারণে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া চিঠিতে কেবল সুপারিশ করেছি। পরবর্তীতে ওই যুবকরা জেলা প্রশাসককে এড্রেস না করে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দিয়েছিল বলে শুনেছি। বিষয়টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আমাকে অবগত করলে ওদের টাকা না দিতে জানিয়ে দিয়েছি।’ তিনি বলেন- ‘জুলাই ভুক্তভোগীদের আমরা বিভিন্ন সময় সুপারিশ দিয়ে থাকি। কিন্তু সেটি কেবল জেলা প্রশাসকের কাছে মানবিক সহায়তায় সুপারিশ দেই। সেটি জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে আমাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে দেয়া কোনো চিঠিতে আমি সুপারিশ করিনি।’ চিঠির ঘটনায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স’র সংশ্লিষ্টদের খোঁজা হলেও গতকাল পর্যন্ত তাদের  খোঁজ মেলেনি। চিঠি প্রকাশ হওয়ার পর আইনজীবীরাও বিব্রত। তারা সিলেটের সমন্বয়কদের ডেকে এনে যারা চিঠি দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য সহযোগিতা চান। তবে সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। চিঠিতে সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান তার একটি মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন। সেটিও বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন- ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স নামে কোনো সংগঠন তিনি চিনেন না। বিএনপি’র ১১ অঙ্গ সংগঠনেও এই নামে কোনো সংগঠন নেই।’ তিনি জানান- ‘এ ধরনের ভুয়া সংগঠনের নানা অভিযোগ তাদের কাছে আসছে। এ কারণে কয়েকদিন আগে জেলা ও নগর বিএনপি’র নেতারা বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের তালিকা প্রেসের মাধ্যমে জানান দিয়ে তারা সকল মহলকে সতর্ক করেছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির চিঠি নিয়ে সিলেটে তোলপাড়

আপডেট সময়ঃ ১২:৪৪:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

চাঁদা দাবির একটি চিঠি নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। চিঠিটি দুই সপ্তাহ আগের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রোববার সন্ধ্যায় চিঠিটি ছাড়া হয়। সিলেটের সাব-রেজিস্ট্রারকে উদ্দেশ্য করে এই চিঠি দেয়া হয়। সেটি দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স’ নামের সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান। সিলেট সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে- দুই সপ্তাহ আগে কয়েকজন যুবক সিলেটের নতুন যোগদান করা সাব-রেজিস্ট্রার মিনহাজ উদ্দিনের কাছে যায়। এ সময় তারা দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির একটি চিঠি সাব-রেজিস্ট্রারের হাতে দিয়ে সহযোগিতা চান। ওই সময় সাব-রেজিস্ট্রার চিঠি রেখে তাদের পরবর্তীতে যোগাযোগ করার কথা বলেন। চিঠিতে সাব-রেজিস্ট্রারকে এড্রেস করে সংগঠনের সভাপতি হিসেবে মাহফুজুর রহমান লিখেন- ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ঐক্য (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স) এ বছর ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আমরা আহত ও নিহত শহীদদের সম্মানে এক স্মরণসভা, এতিম খানায় খাবার বিতরণ, জুলাই বিপ্লবের ছবি প্রদর্শনী এবং শহীদ ওয়াসিম-এর স্মৃতিচারণ সভার আয়োজন করতে যাচ্ছি।’ ‘অনুষ্ঠানটি সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের অংশগ্রহণে একটি ঐতিহাসিক স্মরণীয় দিনে পরিণত হবে। এ আয়োজন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, ব্যানার, পোস্টার, খাবার, মঞ্চসজ্জা, মিডিয়া কাভারেজ এবং অন্যান্য খরচের জন্য অর্থের প্রয়োজন। সুতরাং উক্ত উদ্দেশ্যে দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদানের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।’

চিঠিতে সুপারিশ করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে সিলেটের জিপি এডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী, মহানগর পিপি এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, জেলা পিপি এডভোকেট আশিক উদ্দিনের নাম, সিল ও দস্তখত। এদিকে- কথা মতো পরের সপ্তাহে যুবকরা সাব- রেজিস্ট্রারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার যুবকদের অবগত করেন; এ সংক্রান্ত কোনো বরাদ্দ তার কাছে নেই। সুতরাং তিনি টাকা দিতে পারবেন না। তার এই কথা শুনে যুবকরা চলে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শেখ লোকমান আহমদ। তিনি মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘এক সপ্তাহ আগে টাকা নিতে ওই যুবকরা সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে এসেছিল। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রার টাকা না দেয়ায় তারা চলে যায়। কোনো কথা বাড়ায়নি।’ তিনি জানিয়েছে- ‘যারা চিঠি দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে টাকা নিতে এসেছিল তাদের কাউকে চিনেন না। তারা জুলাই আহত ও নিহতদের সহায়তায় কাজ করছে বলে জানিয়েছিল। যেহেতু তারা টাকার জন্য বেশি চাপাচাপি করেনি সে কারণে তাদের সঙ্গে আমরাও ভালো ব্যবহার করেছি।’ এদিকে চিঠিতে সত্যি সত্যি সিলেটে জিপি ও পিপিরা সুপারিশ করেছেন কিনা এ নিয়ে গতকাল মানবজমিনের সঙ্গে কথা হয় তিনজনেরই। সিলেটের জিপি এডভোকেট শামীম আহমদ সিদ্দিকী মানবজমিনকে জানিয়েছেন- ‘এই নামে কোনো সংগঠনকে টাকা দিতে আমি কোনো সুপারিশ করিনি। নিশ্চয়ই এখানে কেউ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান।’ সিলেট জেলার পিপি এডভোকেট আশিক উদ্দিন জানান- ‘সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠিতে কেউ দস্তখত নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। চাঁদা দাবির কোনো চিঠিতে আমরা দস্তখত দিতে পারি না এবং আমি ওই চিঠিতে দস্তখত দিয়েছি বলে মনে হয় না।’ তবে তিনি জানান- ‘বিভিন্ন সময় জুলাইয়ে আহত ও নিহতদের নামে অনেকেই আমাদের কাছে আসে। যেহেতু তারা ভুক্তভোগী। আমরা যথাসাধ্য তাদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা দেই।’

আশিক জানান- ‘কয়েকদিন আগে কিছু যুবক আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বলেছি সরকারের তরফ থেকে জেলা প্রশাসক অনুদান দেন। সেখানে যোগাযোগ করতে তাদের পরামর্শ দিয়ে বিদায় করে দেই।’ চিঠিতে সুপারিশের দস্তখতকারী মহানগর পিপি এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন- ‘কিছু যুবক এসেছিল জেলা প্রশাসকের কাছে একটি চিঠির সুপারিশ করতে। আমি তখন খুব ব্যস্ত ছিলাম। যেহেতু তারা জুলাই যুদ্ধা বলেছে এ কারণে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া চিঠিতে কেবল সুপারিশ করেছি। পরবর্তীতে ওই যুবকরা জেলা প্রশাসককে এড্রেস না করে সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চিঠি দিয়েছিল বলে শুনেছি। বিষয়টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে আমাকে অবগত করলে ওদের টাকা না দিতে জানিয়ে দিয়েছি।’ তিনি বলেন- ‘জুলাই ভুক্তভোগীদের আমরা বিভিন্ন সময় সুপারিশ দিয়ে থাকি। কিন্তু সেটি কেবল জেলা প্রশাসকের কাছে মানবিক সহায়তায় সুপারিশ দেই। সেটি জেলা প্রশাসকের তরফ থেকে আমাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাব-রেজিস্ট্রারের কাছে দেয়া কোনো চিঠিতে আমি সুপারিশ করিনি।’ চিঠির ঘটনায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স’র সংশ্লিষ্টদের খোঁজা হলেও গতকাল পর্যন্ত তাদের  খোঁজ মেলেনি। চিঠি প্রকাশ হওয়ার পর আইনজীবীরাও বিব্রত। তারা সিলেটের সমন্বয়কদের ডেকে এনে যারা চিঠি দিয়েছেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য সহযোগিতা চান। তবে সোমবার বিকাল পর্যন্ত তাদের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। চিঠিতে সংগঠনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান তার একটি মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন। সেটিও বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিলেট জেলা বিএনপি’র সভাপতি এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন- ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স নামে কোনো সংগঠন তিনি চিনেন না। বিএনপি’র ১১ অঙ্গ সংগঠনেও এই নামে কোনো সংগঠন নেই।’ তিনি জানান- ‘এ ধরনের ভুয়া সংগঠনের নানা অভিযোগ তাদের কাছে আসছে। এ কারণে কয়েকদিন আগে জেলা ও নগর বিএনপি’র নেতারা বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের তালিকা প্রেসের মাধ্যমে জানান দিয়ে তারা সকল মহলকে সতর্ক করেছেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন