Live FM Live TV
০৯:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

ধানের শীষে ভোট চাওয়ায় দুই নারীকে লাঞ্ছিতকারী জামায়াতকর্মীর বিচার দাবি

রাজশাহী ব্যুরো:
  • আপডেট সময়ঃ ১০:৫২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫৪ বার পড়া হয়েছে।

ধানের শীষে ভোট চাওয়ায় দুই নারীকে লাঞ্ছিতকারী জামায়াতকর্মীর বিচার দাবি

ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালানো ও ভোট চাওয়ার কারণে রাজশাহীতে মহিলা দলের দুই কর্মীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতকারী জামায়াতকর্মীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর একটি রেস্তোরাঁর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দুই বোন এই দাবি জানান। পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর পবা উপজেলার আশরাফের মোড় এলাকায় নিলুফা ইয়াসমিন ও তাঁর বোন নূরবানু বেগমকে মারধর করেন জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলাম (৫৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার রনহাট গ্রামে। তিনি নিলুফাকে স্যান্ডেল খুলে মারধর করেন এবং নূরবানুর পেটে লাথি মারেন।

ঘটনার পরদিন রাতেই নূরবানু বেগম রাজশাহীর কাটাখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন দুই বোন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী–৩ (পবা–মোহনপুর) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল হক মিলন, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদা হাবিবা, নগর বিএনপির সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইটসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রফেসর আব্দুল রাজ্জাক।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে নিলুফা ও নূরবানুকে ডাকেন জামায়াতকর্মী নুরুল ইসলাম। তিনি তাদের জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে বলেন। রাজি না হলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং পরে হামলা চালান।

ভুক্তভোগী নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘নুরুল একপর্যায়ে স্যান্ডেল খুলে আমাকে মারতে শুরু করেন এবং আমার বোনকে ঘাড়ে আঘাত করেন। এরপর দৌড়ে এসে আমার পেটে লাথি মারেন।’ তিনি অভিযুক্ত নুরুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হক মিলন বলেন, ‘রাজনৈতিক মতভেদের কারণে কাউকে নির্যাতন করা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়। কাউকে জোর করে অন্য দলের হয়ে ভোট চাওয়ানোও অন্যায়।’

অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘নিলুফা আগে আওয়ামী লীগের ভোট করেছে, এখন বিএনপির করছে—এটা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়েছিল। আমি শুধু ধাক্কা দিয়েছি, এর বেশি কিছু না।’

কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ‘নূরবানু বেগমের জিডি আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে তদন্ত শুরু করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য