১২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫

নবীগঞ্জে বেহাল সড়কে নাকাল গ্রামবাসী ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

সিলেট ব্যুরো
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে।

কে দেখবে নবীগঞ্জ টু মার্কুলী রাস্তার বেহাল দশা। দেখার যেন কেউ নেই। মানুষের দুর্ভোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে সড়কটি যান চলাচলে অনুপযোগী প্রায়। পথচারীদের কষ্ট আর দুর্ভোগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, ২০২২ সালের বন্যায় এই রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তী সময়ে এই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় এখন বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, পুরো সড়কের একটু পর পর বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে সব গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

ধান-চাল ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া বলেন, ‘উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। বেহাল এই সড়কের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের পণ্যবাহী ট্রাক অধিকাংশ সময় গর্তে দেবে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া হাওর অধ্যুষিত এই এলাকার ধান বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় ট্রাক আসে। সেগুলো চলতে কষ্ট হয়। এই বিষয়ে সচেতন মহলের অনেকেই একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না।’

মার্কুলী বাজারের ব্যবসায়ী রহিম আলী বলেন, ‘সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুব সমস্যা হয়। প্রায় সময় এই রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই।’

এই বিষয়ে হরিনগর বাজারের ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ জানান, দোকানের মালপত্র নিয়ে আসতে অনেক সময় পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তার গর্তে দেবে যায়। ফলে মালপত্র পরিবহন করতে অধিক ভাড়া দিতে হয় তাদের।

এই বিষয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফজলু বলেন, ‘সড়কটি খারাপ হওয়ায় আমাদের প্রচুর গ্যাস খরচ হয়। তাছাড়া ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় এবং গাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।’ তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘কে দেখবে দুঃখ, আমাদের শুধু বলার আছে, কাজের দেখার কেউ নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মীর সাব্বির আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সড়কের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

নবীগঞ্জে বেহাল সড়কে নাকাল গ্রামবাসী ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

আপডেট সময়ঃ ১১:৪২:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

কে দেখবে নবীগঞ্জ টু মার্কুলী রাস্তার বেহাল দশা। দেখার যেন কেউ নেই। মানুষের দুর্ভোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এই সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ। বর্তমানে সড়কটি যান চলাচলে অনুপযোগী প্রায়। পথচারীদের কষ্ট আর দুর্ভোগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, ২০২২ সালের বন্যায় এই রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তী সময়ে এই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে রাস্তাটির অধিকাংশ জায়গায় এখন বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, পুরো সড়কের একটু পর পর বিটুমিন উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সে সব গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

ধান-চাল ব্যবসায়ী স্বপন মিয়া বলেন, ‘উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। বেহাল এই সড়কের কারণে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের পণ্যবাহী ট্রাক অধিকাংশ সময় গর্তে দেবে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া হাওর অধ্যুষিত এই এলাকার ধান বিক্রির জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় ট্রাক আসে। সেগুলো চলতে কষ্ট হয়। এই বিষয়ে সচেতন মহলের অনেকেই একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না।’

মার্কুলী বাজারের ব্যবসায়ী রহিম আলী বলেন, ‘সড়কটিতে দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। তাদের চলতে খুব সমস্যা হয়। প্রায় সময় এই রাস্তাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। রোগী নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়ারও কোনো উপায় নেই।’

এই বিষয়ে হরিনগর বাজারের ব্যবসায়ী সুমন আহমেদ জানান, দোকানের মালপত্র নিয়ে আসতে অনেক সময় পণ্যবাহী ট্রাক রাস্তার গর্তে দেবে যায়। ফলে মালপত্র পরিবহন করতে অধিক ভাড়া দিতে হয় তাদের।

এই বিষয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ফজলু বলেন, ‘সড়কটি খারাপ হওয়ায় আমাদের প্রচুর গ্যাস খরচ হয়। তাছাড়া ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হয় এবং গাড়িরও ব্যাপক ক্ষতি হয়।’ তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘কে দেখবে দুঃখ, আমাদের শুধু বলার আছে, কাজের দেখার কেউ নেই।’

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মীর সাব্বির আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সড়কের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে রাস্তাটির টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চলে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন