যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনের মিডটাউনে এক ভয়াবহ বন্দুক হামলায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের একজন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, একজন নারী, একজন নিরাপত্তা রক্ষী এবং সন্দেহভাজন বন্দুকধারী শেন তামুরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলটি ম্যানহাটনের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকা মিডটাউনের ৫১তম ও ৫২তম স্ট্রিটের মাঝখানে অবস্থিত।
নিউইয়র্ক সিটি পুলিশের কমিশনার জেসিকা টিশ জানান, নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে—একজন ব্যক্তি একটি কালো বিএমডব্লিউ গাড়ি থেকে নেমে আসে, যার ডান হাতে একটি এম৪ রাইফেল ছিল। ওই ব্যক্তি ভবনের লবিতে ঢুকে প্রথমেই একজন নিউইয়র্ক পুলিশ কর্মকর্তার ওপর গুলি চালায়।
এরপর তিনি নিচতলায় আরও দুজনকে হত্যা করেন, যাদের মধ্যে একজন নারী ও একজন ভবনের নিরাপত্তাকর্মী। এরপর তিনি ভবনের ৩৩তম তলায় উঠে গিয়ে আরও একজন পুরুষকে গুলি করে হত্যা করেন। এ সময় আহত আরও একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কমিশনার টিশ নিশ্চিত করেন, নিহত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম বাংলাদেশি অভিবাসী এবং তিনি তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন। নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস তাকে ‘অফিসার ইসলাম’ নামে উল্লেখ করেন।
টিশ আরও জানান, দিদারুল ইসলাম ছিলেন একজন পরিবারবান ব্যক্তি—তিনি বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী বর্তমানে তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।
ঘাতকের নাম শেন তামুরা। বয়স ২৭ বছর। তার বাড়ি লাস ভেগাসে হলেও কী উদ্দেশ্যে তিনি এই হামলা চালিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
ঘটনার সময় ভবনের পাশে থাকা এক নারী এএফপিকে জানান, তিনি দেখেছেন বন্দুকধারী একের পর এক ফ্লোরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।
অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটি ছিল ব্ল্যাকস্টোন ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির একটি অফিস ভবন।
নিউইয়র্ক পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত চলছে। বন্দুকধারীর পরিচয় ও উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভবনটির আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদকঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন। নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন। বার্তা সম্পাদকঃ রুমি বরুয়া।
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225
©২০২৫ সিলেট ২১ সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত। | Developed Success Life IT