বিশ্ব চলচ্চিত্রের মানচিত্রে এক ঐতিহাসিক গৌরবময় অধ্যায় রচনা করেছে পাকিস্তান। ‘মোকলানি – দ্য লাস্ট মোহানাস’ প্রামাণ্যচিত্রটি জয় করেছে মর্যাদাপূর্ণ জ্যাকসন ওয়াইল্ড মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস, যা প্রকৃতি বিষয়ক ডকুমেন্টারির ক্ষেত্রে ‘অস্কার’ হিসেবে সুপরিচিত। পাঁচ শতাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এই সম্মান অর্জন করেছে ছবিটি।
এই জয় পাকিস্তানের চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য এক বিরাট মাইলফলক। এর মধ্য দিয়ে প্রথম কোনো পাকিস্তানি চলচ্চিত্র এই বিশেষ সম্মান অর্জন করলো।পরিচালক ও প্রযোজক জাওয়াদ শরিফ নির্মিত এই ছবিটি আলো ফেলেছে মনোহর হ্রদের আদিবাসী মোহানা সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার ওপর। পরিবেশগত চাপ এবং আধুনিকতার আগ্রাসনে তাদের শত শত বছরের পুরোনো সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। এই প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে তাদের সংগ্রাম এবার বিশ্বজুড়ে স্বীকৃতি পেল।
চলচ্চিত্রের নির্মাতারা তাদের এই অর্জন উৎসর্গ করেছেন মোহানা মৎস্যজীবী সম্প্রদায়, সমগ্র পাকিস্তান ও বিশ্বের সব আদিবাসী গোষ্ঠীকে। তারা জানান, ছবিটি শুধু একটি প্রামাণ্যচিত্র নয়, বরং এটি তাদের সহনশীলতা, সংস্কৃতি এবং প্রজ্ঞার প্রতি এক বিশেষ শ্রদ্ধাঞ্জলি যা কোনোভাবেই ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি এবং ক্লাইমেট কাহানির সহায়তায় নির্মিত 'মোকলানি – দ্য লাস্ট মোহানাস' শ্বাসরুদ্ধকর ভিজ্যুয়াল আর শক্তিশালী গল্প বলার ভঙ্গিতে মুগ্ধ করেছে বিচারকদের। এটি মানুষের টিকে থাকা আর পরিবেশগত পরিবর্তনের মধ্যে এক নাজুক ভারসাম্যকে ফুটিয়ে তুলেছে। এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় পর্যায়ের এই কঠিন সংগ্রামই যে আসলে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের প্রতিচ্ছবি, সেটাই তুলে ধরা হয়েছে।এই সাফল্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে জোরালো গল্প বলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানি সিনেমার ক্রমবর্ধমান ভূমিকাকেই তুলে ধরে। সাংস্কৃতিক বিলুপ্তি ও জলবায়ু হুমকিকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি এখন ঐতিহ্য ও স্থিতিশীলতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রে পাকিস্তানকে প্রতিষ্ঠা করেছে।
প্রধান সম্পাদক ঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন , নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন , বার্তা সম্পাদক ঃ মিসবাহ উদ্দিন
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225