০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারালো বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
  • আপডেট সময়ঃ ১০:২৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে।

মিরপুরে পাকিস্তানকে হারানোর দুবারের প্রমাণিত সূত্র রয়েছে বাংলাদেশের। সফরকারীদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠাতে হবে। মিরপুরের গড় স্কোর ১৩৮ রানের আশেপাশে বোলাররা তাদের বেঁধে রাখবেন। পরে ব্যাটসম্যানরা এসে সেটি তাড়া করবেন নির্ভয়ে। সেই সূত্র অনুসরণ করে মিরপুরে তৃতীয় আর সবমিলিয়ে চতুর্থবারের মতো পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে হারালো বাংলাদেশ। এবারের জয়ের ব্যবধান ৭ উইকেটের।

১১১ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই কেমন অধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করতে দেখা গেল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। কুড়ি ওভার ফিল্ডিংয়ের পরও উইকেটের হাল বুঝতে ব্যর্থতার পরিচয় দেন তানজিদ ও লিটন। প্রথম ওভারেই উঠিয়ে মারতে গিয়ে অভিষিক্ত সালমান মির্জার প্রথম টি-টোয়েন্টি শিকার বনেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ বল খেলে করেন ১ রান।

আর তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দেন লিটন দাস। তারও রান একই, চার বলে ১। ষষ্ঠ ওভারে ফিরে যেতে পারতেন তাওহীদ হৃদয়ও। তবে ফাহিম আশরাফের বলে থার্ডম্যানে ওঠা ক্যাচ ফেলে দেন আবরার আহমেদ। পাওয়ার প্লে শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৩৮। সেটি সম্ভব হয় পারভেজ হোসেন ইমন ও হৃদয়ের দুটি করে ছক্কা হাঁকানোর ফলে।

৬২ বলে ৭৩ রানের দারুণ জুটিতে এ দুজন মিলেই মূলত জয়ের ভিতটা গড়ে দেন বাংলাদেশের। জুটি ভাঙে হৃদয়ের বিদায়ে। ১৩তম ওভারে আব্বাস আফ্রিদির দ্বিতীয় বলে আঘাত পান হৃদয়। পরের বলেই হয়ে যান বোল্ড। ৩৭ বলের ইনিংসে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৬ রান করেন তিনি।

তবে আরেক প্রান্তে শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন ইমন। লঙ্কানদের বিপক্ষে তানজিদের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটান তিনি। ৩৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। দলকে জিতিয়ে তিনি যখন ফিরছেন নামের পাশে ৩৯ বলে ৫৬ রান। ইনিংসে চার ৩টি, ছক্কা ৫টি। জাকের আলী অনিক অপরাজিত ছিলেন ১০ বলে ১৫ রানে।

এর আগে ৯ ম্যাচ পর লিটন দাস পান টসে জেতার আনন্দ। আগে বোলিং করার তার সিদ্ধান্ত যথার্থ প্রমাণ করেন বোলাররা, সঙ্গে দুটো দারুণ রানআউট। পাওয়ার প্লেতে ৪১ রানের মধ্যেই পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। আর চার বল বাকি থাকতেই সফরকারীরা অলআউট হয় ১১০ রানে। প্রথমবার পাকিস্তানকে টি-টোয়েন্টিতে অলআউট করল বাংলাদেশ।

বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে জ্বলজ্বলে মোস্তাফিজ। নিজের চার ওভারের ১৮টিই করেন ডট। ২ উইকেট নিতে খরচা করেন মাত্র ৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে চার ওভার বোলিং করে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম রান দেওয়ার কীর্তি। ২২ রানে ৩ শিকার ধরেন তাসকিন।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন