পাকিস্তানি সেনা অভিযানে বাংলাদেশি যুবক নিহত

- আপডেট সময়ঃ ০৫:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৬২ বার পড়া হয়েছে।

দুবাই যাওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তানে গিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবানে (টিটিপি) যোগ দেয় মাদারীপুরের এক যুবক। সেখানেই ওই সংগঠনের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি।
নিহত ফয়সাল মোড়ল (২২) মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হিজামা সেন্টারে চাকরির কথা বলে গত বছরের মার্চে (২০২৪) দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন ফয়সাল। কিন্তু পরে তিনি পাকিস্তানে গিয়ে যোগ দেন টিটিপি দলে।
সবশেষ কোরবানির ঈদের আগে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৭ টিটিপি সদস্য নিহত হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন ফয়সালও। পরে তার পোশাক, আইডি কার্ড, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য কাগজপত্র উদ্ধার করে পাকিস্তানি বাহিনী। দেশটির গণমাধ্যমে নিহতদের ছবি প্রকাশিত হলে সেগুলো দেখে ফয়সালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয় পরিবার।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাবা আব্দুল আউয়াল মোড়ল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে চাকরি করেন। বড় ভাই আরমান হোসেন দারাজে ডেলিভারিম্যান এবং মা চায়না বেগম গৃহিণী।
চাচা আব্দুল হামিম মোড়ল বলেন, ফয়সাল ঢাকায় একটা ছোট ব্যবসা করতো। ঢাকার মতিঝিলের সামনে আতর-টুপি বেচাকেনা করতো। কিন্তু কারা আমার ভাতিজাকে এই সংগঠন নিয়ে গেছে আমরা জানি না। আমরা ভাবতেই পারিনি ফয়সাল এমন জায়গায় গিয়ে জীবন হারাবে। পরিবার তার লাশ দেশে ফেরত চায়।
নিহতের মা চায়না বেগম বলেন, আমার ছেলে দুবাইয়ে চাকরি করতে গিয়েছে বলে আমরা জানতাম। সে পাকিস্তানে গিয়ে গুলিতে মরবে এটা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি সরকারের কাছে এই হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিবার চাইলে নিহত ফয়সালের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পুলিশ সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি কেউ যাতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনে আর যুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।