পাকিস্তান বিমানবাহিনীর হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩০

- আপডেট সময়ঃ ০৯:১২:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৪ বার পড়া হয়েছে।

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে দেশটির বিমানবাহিনী। অভিযানে বিমান থেকে ভয়ংকর বোমা হামলা চালানো হয়েছে, যার ফলে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের সবাই বেসামরিক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, এ হামলায় আহতও হয়েছেন অনেকজন। তবে, সুনির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
এদিকে এ হামলা নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) খাইবার পাখতুনখোয়ার তিরাহ উপত্যকার মাত্রে দারা গ্রামে পরিচালিত এ অভিযানে ৮টি এলএস-৬ বোমা নিক্ষেপ করেছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী।
অভিযানের পরে মাত্রে দারা গ্রামের কিছু ছবি ও ভিডিওচিত্র প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেসব ছবি ও ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করছে উদ্ধারকারী বাহিনী। নিহত এবং আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশটি মূলত পাকিস্তানের তালেবানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ঘাঁটি অঞ্চল। সন্ত্রাসী হামলা ও তৎপরতার জন্য বেশ কয়েক বছর আগে গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসলাবাদ।
তবে, ২০২১ সালের আগস্টে কাবুলে তালেবানপন্থী সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর খাইবার পাখতুনখোয়ায় তৎপরতা বেড়ে যায় টিটিপির। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলা ঘটাতে থাকে গোষ্ঠীটি।
প্রাদেশিক পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন জেলায় মোট ৬০৫টি ছোটো-বড় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এসব হামলা প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৩৮ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৭৯ জন পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশো বেসামরিক নাগরিক, পুলিশ ও সেনা সদস্য। শুধুমাত্র গত আগস্ট মাসেই ঘটেছে ১২৯টি সন্ত্রাসী হামলা।
দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ উচ্ছেদ এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা— দুটি ক্ষেত্রেই পাকিস্তানের পারফরম্যান্স বেশ হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের আঞ্চলিক উপপরিচালক ইসাবেলে ল্যাসি।