০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে শাবিতে গায়েবানা জানাযা

সিলেট ব্যুরো
  • আপডেট সময়ঃ ০৩:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে।

ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাযার কর্মসূচি পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে যান এবং সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গায়েবানা জানাযা আদায় করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বুধবার “লং মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অবস্থান নেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন, যমুনার দিকে অগ্রসর হলে পুলিশি বাধা ও দমনপীড়নের মুখে পড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার ও হাসিবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

বিক্ষোভে কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের আবরার বিন রশিদ বলেন, “চলতি ইন্টেরিম সরকার পূর্বের মতোই পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে। আমাদের তিনটি দাবি ছিল সম্পূর্ণ যৌক্তিক। দেশের প্রকৌশল খাতে ডিপ্লোমাধারীরা ৮০-৯০% পদ দখল করে আছে, যা প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন করে। আমরা চাই, মেধার ভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করা হোক।”

পেট্রোলিয়াম ও খনিপ্রকৌশল বিভাগের ইব্রাহিম বিন ইসলাম বলেন, “নৌবাহিনী কিংবা বিসিএস ক্যাডারদের মতো কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নবম গ্রেডে প্রবেশ করতে হয়। অথচ ডিপ্লোমাধারীদের সরাসরি ওই গ্রেডে চাকরি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এইভাবে মেধাবীরা দেশে ফিরবে কীভাবে?”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিন দফা দাবি হল:
১. ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে মেধাক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

২. টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ পুরণের জন্য উন্নত করতে হবে। অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদেরকে পরীক্ষায় সুযোগ দিতে হবে।

৩. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি বতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের হামলার প্রতিবাদে শাবিতে গায়েবানা জানাযা

আপডেট সময়ঃ ০৩:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকায় প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও গায়েবানা জানাযার কর্মসূচি পালন করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রধান ফটকে যান এবং সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গায়েবানা জানাযা আদায় করেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বুধবার “লং মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকায় অবস্থান নেন। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন, যমুনার দিকে অগ্রসর হলে পুলিশি বাধা ও দমনপীড়নের মুখে পড়েন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার ও হাসিবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।

বিক্ষোভে কেমিকৌশল ও পলিমার বিজ্ঞান বিভাগের আবরার বিন রশিদ বলেন, “চলতি ইন্টেরিম সরকার পূর্বের মতোই পুলিশকে ব্যবহার করে আমাদের আন্দোলনে হামলা চালিয়েছে। আমাদের তিনটি দাবি ছিল সম্পূর্ণ যৌক্তিক। দেশের প্রকৌশল খাতে ডিপ্লোমাধারীরা ৮০-৯০% পদ দখল করে আছে, যা প্রকৃত ইঞ্জিনিয়ারদের অবমূল্যায়ন করে। আমরা চাই, মেধার ভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করা হোক।”

পেট্রোলিয়াম ও খনিপ্রকৌশল বিভাগের ইব্রাহিম বিন ইসলাম বলেন, “নৌবাহিনী কিংবা বিসিএস ক্যাডারদের মতো কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নবম গ্রেডে প্রবেশ করতে হয়। অথচ ডিপ্লোমাধারীদের সরাসরি ওই গ্রেডে চাকরি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এইভাবে মেধাবীরা দেশে ফিরবে কীভাবে?”

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশি হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তাদের তিন দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিন দফা দাবি হল:
১. ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে মেধাক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

২. টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদ পুরণের জন্য উন্নত করতে হবে। অর্থাৎ ডিপ্লোমা ও বিএসসি উভয় ডিগ্রিধারীদেরকে পরীক্ষায় সুযোগ দিতে হবে।

৩. বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি বতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন