১০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করুন: জাতীয় কমিটি

সিলেট ব্যুরো
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৫০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে।

ফুলবাড়ী অভ্যুত্থানের ১৯তম বার্ষিকীতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্বে জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ আহ্বায়ক আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান,বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট রণেন সরকার রনি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, ছাত্র ইউনিয়নের মনীষা ওয়াহিদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বুশরা শুহাইল প্রমূখ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বীর শহীদদের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ফুলবাড়ী অভ্যুত্থানের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও অতীতের কোন সরকার ফুলবাড়ী চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকারও কোনো দায়িত্ব পালন করছে না। তারা আমাদের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেনি, এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং এশিয়া এনার্জি নানাভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে, লন্ডনের শেয়ার বাজারে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের ষড়যন্ত্র থামেনি, বরং নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।

বক্তারা বলেন, বিগত দিনে দেশের সমুদ্রের গ্যাস সম্পদ অসম চুক্তিতে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানিকে দেওয়া, চট্টগ্রাম বন্দর বেসরকারি মালিকানায় দিয়ে লুটপাটের আয়োজন চলছিল। এ সময়েও বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির তৎপরতা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রাখাইনে করিডোর দেওয়ার নামে এ অঞ্চলের সাম্রাজ্যবাদী অপতৎপরতার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। দেশের মাটিতে বিদেশিদের সমরাস্ত্র তৈরির কারখানা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির নামে গোপন চুক্তি করা হচ্ছে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জাতীয় সম্পদ রক্ষা, দেশকে সাম্রাজ্যবাদী কবল থেকে রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

ফুলবাড়ী চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করুন: জাতীয় কমিটি

আপডেট সময়ঃ ০৭:৫০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ফুলবাড়ী অভ্যুত্থানের ১৯তম বার্ষিকীতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ পূর্বে জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা সদস্য সচিব এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন এর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ আহ্বায়ক আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান,বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট রণেন সরকার রনি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, ছাত্র ইউনিয়নের মনীষা ওয়াহিদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বুশরা শুহাইল প্রমূখ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বীর শহীদদের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ফুলবাড়ী অভ্যুত্থানের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও অতীতের কোন সরকার ফুলবাড়ী চুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়ন করেনি। বর্তমান অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকারও কোনো দায়িত্ব পালন করছে না। তারা আমাদের নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেনি, এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং এশিয়া এনার্জি নানাভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে, লন্ডনের শেয়ার বাজারে তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের ষড়যন্ত্র থামেনি, বরং নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।

বক্তারা বলেন, বিগত দিনে দেশের সমুদ্রের গ্যাস সম্পদ অসম চুক্তিতে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানিকে দেওয়া, চট্টগ্রাম বন্দর বেসরকারি মালিকানায় দিয়ে লুটপাটের আয়োজন চলছিল। এ সময়েও বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির তৎপরতা অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। রাখাইনে করিডোর দেওয়ার নামে এ অঞ্চলের সাম্রাজ্যবাদী অপতৎপরতার সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে। দেশের মাটিতে বিদেশিদের সমরাস্ত্র তৈরির কারখানা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির নামে গোপন চুক্তি করা হচ্ছে।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জাতীয় সম্পদ রক্ষা, দেশকে সাম্রাজ্যবাদী কবল থেকে রক্ষায় গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন