বিয়ানীবাজারে ই-সিগারেটে বুদ হচ্ছে শিক্ষার্থী-কিশোর প্রজন্ম

- আপডেট সময়ঃ ১১:৪৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে।

প্রায় ২ বছরের বেশী সময় থেকে ই-সিগারেটে বুদ হচ্ছে বিয়ানীবাজারের শিক্ষার্থী-কিশোর প্রজন্ম। বর্তমান অবস্থায় দ্রুত ই-সিগারেটের প্রসার বাড়ছে। স্থানীয় তরুণ প্রজন্ম অনেকটা ফ্যাশন হিসেবেই বেছে নিচ্ছে ই-সিগারেটকে। এর স্টাইলিশ ব্যবহার সহজেই আকৃষ্ট করে তরুণদের। ই-সিগারেটসহ সব ইমার্জিং টোব্যাকো পণ্যই স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর উল্লেখ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তরুণদের মধ্যে যারা এসব পণ্যে আসক্ত, তাদের মধ্যে নতুন করে সিগারেট শুরুর সম্ভাবনা দ্বিগুণেরও বেশি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিয়ানীবাজারের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা ই-সিগারেটে বেশী আসক্ত হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান থেকে গত কয়েকমাসে অন্তত: ১০ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে আরোও শতাধিক শিক্ষার্থীকে। এই নেশার ভয়াবহতা দূর করতে বিব্রত হয়ে পড়ছেন অনেক শিক্ষক। ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগই জানেন না ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এর বিভিন্ন ফ্লেভারের কারণে তরুণরা সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীরা সরাসরি নিকোটিনের সংস্পর্শে আসেন এবং এটি কিশোর মস্তিষ্ক বিকাশে বাধাগ্রস্ত করে। মূলত তরুণ এবং শিশুদের টার্গেট করে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এসব ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টস উৎপাদন ও বাজারজাত করছে তামাক কোম্পানিগুলো। উদ্ভাবনী কৌশল, সুগন্ধি ব্যবহার ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে কিশোর এবং তরুণদের মধ্যে বিশেষত বিদ্যালয়গামী শিশুদের মধ্যে এসব তামাকপণ্যের জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-সিগারেট অ্যারোসল ক্ষতিকারক জলীয়বাষ্প নয়। তবে, ই-সিগারেট অ্যারোসল যা ডিভাইস থেকে শ্বাস নেয় এবং শ্বাস ছাড়ে তাতে ক্ষতিকারক এবং সম্ভাব্য ক্ষতিকারক পদার্থ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে- নিকোটিন, অতি সূক্ষ্ম কণা যা ফুসফুসের গভীরে শ্বাস নেওয়া যায়, উদ্বায়ী জৈব যোগ, ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক, ভারী ধাতু (যেমন নিকেল, টিন এবং সিসা)।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মনিরুল হক খান বলেন, ই-সিগারেটে ব্যবহৃত কেমিক্যালসমূহ খাদ্যমান সম্পন্ন হলেও দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসতন্ত্রে ঝুঁকির কারণ আশঙ্কায় জনস্বাস্থ্যের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও ই- সিগারেটে ব্যবহৃত তরল বাষ্পীভূত করার ফলে ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়, যা ক্যান্সারের কারণ। গবেষণায় ই-সিগারেটের বাষ্পে সিসা, নিকেল, ক্রোমিয়ামসহ অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতিও প্রমাণিত হয়েছে, যা ক্যান্সারসহ নানাবিধ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ।