০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫

বিয়ানীবাজারে মেয়েকে বিয়ে না দেয়ায় শিক্ষক খুন: তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময়ঃ ০২:০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪২ বার পড়া হয়েছে।

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

বিয়ানীবাজারের চাঞ্চল্যকর শিক্ষক বিনয়ান্দ্র ভূষণ চক্রবর্তী হত্যা মামলার তিন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন দ্রুত ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকারের বিজ্ঞ আদালত। বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের রায় প্রদানকালে তিন আসামীর দুইজন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আদালত রায়ের পর্যালোচনায় এ হত্যাকাণ্ডটিকে আসামীদের ঠান্ডা মাথায় সুপরিকল্পনা ও সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসাবে উল্লেখ করেন।
প্রায় ৭ বছর একই বিচারকের আদালতে ১৪ সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহণ এবং মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী জয় লাল নাথের স্বীকারোক্তি, স্ত্রী ও মেয়ের কাছে নিহত শিক্ষক বিনয়ন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তীর ঘটনার বর্ণণা এবং দুই পরিবারের বিরোধের বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরে পর্যালোচনা করে আদালত রায় প্রদান। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন কানাডা প্রবাসী শিক্ষক বিনয়ন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারি ওয়াসিম রাজা ও তার সহযোগী দুলাল আহমদ বাবর। আদালতের কাঠগড়ায় থাকায় দুই আসামী বাবর ও জয় লাল নাথ কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের স্বজনদেরও কাদতে দেখা যায়।
বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের জলঢুপ এলাকায় ২০১৮ সালের ৩০ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে আসামীরা শিক্ষক বিনয়ন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তীকে ঘর থেকে ডেকে বের করে হত্যার উদ্দেশ্যে অগ্নিদগ্ধ করে। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে সিলেট ও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঘটনার ছয়দিন পর ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার চার্টশীটভূক্ত তিন আসামীকে বৃহস্পতিবার প্রদান করা রায়ে আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।
শিক্ষক বিনয়ন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তীর মেয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার শর্মিলা চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর পিতা হত্যা মামলায় জড়িত তিন আসামীকে আদালত মৃত্যুদণ্ড প্রদান করায় আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের চাওয়া রাষ্ট্র দ্রুত এ রায় কার্যকর করবে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামী দেশের বাইরে অবস্থান করছে তাকেও দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি প্রদান করতে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীব পাবলিক প্রশিউকিশন আবুল হোসেন বলেন, তারা যে অপরাধ করেছেন এ রায় সে অপরাধের প্রকৃত শাস্তি। ভিকটিমের পরিবার ন্যায় বিচার পেয়েছেন। আমরা সবাই এ রায়ে সন্তুষ্ট এবং সরকার দেশের বাইরে থাকা এক আসামী যে এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তাকে দেশে এনে রায় কার্যকর করবেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আদালতের রায়ে আমরা অসন্তুষ্ট। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে এই মামলা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। মহামান্য হাইকোর্টে ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমরা দ্রুত আপীল করবো।
ডাক্তার শর্মিলা চক্রবর্তীকে কথিত স্ত্রী দাবি করে পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন ওয়াসিম রাজা। ধর্মীয় বিষয়টি বিবেচনা করে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শিক্ষক বিনয়ন্দ্র ভূষণ চক্রবর্তীকে সে দেশের বাইরে থেকে সহযোগিদের দিয়ে হত্যা করে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন