বিয়ানীবাজারে স্থাপিত জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ

- আপডেট সময়ঃ ১০:৩০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাস বাংলাদেশের ইতিহাসের আরও একটি যুগান্তকারী অধ্যায়। এ সময় দেশজুড়ে শিক্ষার্থী-জনতা বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে, যার চূড়ান্ত পরিণতিতে পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের দিনে বিয়ানীবাজার পৌরশহর হয়ে ওঠে এক রক্তাক্ত জনপদ।
এখানকার মানুষের প্রতিবাদী চেতনা, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে বিয়ানীবাজার। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে এখানে শহীদদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে অত্যন্ত সাদামাটাভাবে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। এতে জুলাই চেতনাধারীদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো উদ্বোধন করা হয়নি। জেলা পরিষদ এসব স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে বলে জানা গেছে। জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ সারা বাংলাদেশ জুড়ে অভিন্ন নকশায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হলেও বিয়ানীবাজারে সেই নকঁশার পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ জুন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার। পরে শিল্পী আব্দুল হালিম চঞ্চলের করা স্মৃতিস্তম্ভের প্রস্তাবিত নকশা সরকার কর্তৃক গৃহীত হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেলা প্রশাসকদের স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণস্থল চিহ্নিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজারের সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাব, তারেক আহমদ, সুহেল আহমেদ, রায়হান আহমদ ও মঈনুল ইসলামের নাম সরকারি প্রজ্ঞাপনে শহীদ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত আছে। এরমধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে পৌরশহরে সর্বপ্রথম শহীদ সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবের নামে স্মৃতিফলক নির্মিত হয়। সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার এই ফলকের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কাছে একটি এবং শহীদ হওয়া অপর দু’জনের জন্য আরোও দু’টি স্মৃতিফলক নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ।
জুলাই আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে থাকা ও এনসিপির যুব সংগঠন যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সদস্য শাহরিয়ার ইমন সানি বলেন, সরকারি নকশা অনুযায়ী কংক্রিটের প্লাটফর্মের উপর বসানো স্টিলের স্মৃতিস্তম্ভের দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ও ব্যাস ৬ ফুট । স্তম্ভের ভেতরে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। যা স্তম্ভে খোদাই করা লেখাগুলোকে আলোকিত করে তুলবে। এর সাথে একটি বেদি সংযুক্ত করতে হবে যা ১.৫ ফুট চওড়া। কিন্তু বিয়ানীবাজারের স্মৃতিফলকগুলো কেন এত অবহেলা নিয়ে বানানো হলো, তা বোধগম্য হচ্ছেনা।
জুলাই আন্দোলনের অপর যোদ্ধা ও জেলা ছাত্র শিবিরের অর্থ সম্পাদক আহবাব হোসেন মুরাদ জানান, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে জীবন্ত রাখার প্রয়াস নিয়ে সরকার এগুলো নির্মাণ করার জন্য সচেষ্ট হয়। তবে এভাবে এগুলো নির্মাণ করার চেয়ে না করাই ভালো ছিল।