বিস্ফোরক মামলার আসামি হয়েও থানায় অবাধ বিচরণ

- আপডেট সময়ঃ ১২:১৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হয়েও বিয়ানীবাজার থানায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এম এ রশিদ ওরফে আব্দুর রশিদ। কখনও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে চা চক্রে অংশ নিচ্ছেন, কখনও আবার থানার ভেতরে দিব্যি সময় কাটাচ্ছেন। অথচ চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ তার কোনো সন্ধান নেই। এমনকি গ্রেপ্তারের কোনো উদ্যোগও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৩ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায় আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আহত হন বহু আন্দোলনকারী। পরবর্তীতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বাগাউড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজন মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিনসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। যুবলীগ নেতা এম এ রশিদ এই মামলার ৪৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
সূত্র বলছে, গত ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় এম এ রশিদ বিয়ানীবাজার থানায় প্রবেশ করে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করেন। এর আগে ১৪ এপ্রিলও তাঁকে থানার ডিউটি অফিসার রুমে আড্ডা দিতে দেখা যায়। এসব মুহূর্ত থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিয়ানীবাজার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।”
অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফ উজ্জামান সাংবাদিককে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, “কে বিস্ফোরক মামলার আসামি? আমি তো চিনি না ভাই! ছবি পাঠান।”
ছবি পাঠানোর পরেও তিনি আর কোনো সাড়া দেননি।
এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সৈয়দ শাফী মাহমুদ রাসেল বলেন, “মামলাটি আমি তদন্ত করছি এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। থানায় আসামি ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, “আন্দোলনে হামলাকারী আসামির থানায় অবাধ বিচরণ সরকারের ডেভিল হান্ট অপারেশনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এটা শুধু শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননা নয়, বরং দেশের সার্বিক নিরাপত্তার জন্যও গভীর উদ্বেগজনক।”