সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের ৬টি অংশে বানের পানিতে তলিয়ে গেলেও যানচলাচলে স্বাভাবিক রয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার ১৫শত পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হলেও পানিবন্ধি পরিবারের সংখ্যা হাতে গোনা। গত দুইদিন থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না। তিনি জানান, বন্যা কবলিত ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় জরুরী ভিত্তিতে ২২ মেট্রিকটন চাল বরাদ্ধ করা হয়েছে।
চলতি বন্যায় কুশিয়ারা নদীর বিয়ানীবাজার উপজেলায় বুধবার রাতে পাঞ্জেপুরি ডাইক ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। একই নদীর শেওলা ও দুবাগ এলাকায় নদীর বাঁধ উপচে এবং কাকরদিয়া এলাকায় একটি ডাইক ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় তলিয়ে গেলে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ের কাকরদিয়া, তেরাদল, দুবাগের ৬টি এলাকা।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বুধবার বিকাল ৩টায় কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা পয়েন্টে দশমিক ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। মঙ্গলবারে একই পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, ৬৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও এখনো কোন পরিবার আশ্রয় নেয়নি। বন্যা পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কবলিত এলাকাবাসীর যত রকম সহযোগিতা প্রয়োজন প্রশাসন সেসব ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি বলেন, নদীর পানি কমতে শুরু করায় পরিস্থিতি দুই একদিনের মধ্যে উন্নতি হবে।
প্রধান সম্পাদকঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন। নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন। বার্তা সম্পাদকঃ রুমি বরুয়া।
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225
© 2024 Sylhet21 All Rights Reserved. | Developed Success Life IT