১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫

বিয়ানীবাজারের শেওলায় বিপদসীমার উপরে কুশিয়ারা, ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:২১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে।

টানা বর্ষণ চলছে সিলেট বিয়ানীবাজারজুড়ে। আবার উজানে ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। এর পানিও নেমে আসছে।

এ অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু অংশ ডুবে গেছে। ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারাও। বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও যখন তখন দু’কূল ছাপিয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখী হতে পারে বিয়ানীবাজার উপজেলা।

গত কয়েকদিন ধরেই এ অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বন্যার আশঙ্কায় বিয়ানীবাজারে ৬৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদকে প্রধান করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এদিকে আবার ক্ষনে ক্ষনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারার পানি। শুক্রবার বিকেলেও বিপৎসীমার কয়েক ফুট নিচে থাকলেও রাতেই তা আশঙ্কাজনক পর্যায়ের দিকে যেতে থাকে। সুরমা-কুশিয়ারা যেভাবে ফুঁসছে, যখন তখন বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কুশিয়ারার পানি আমলসীদে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৪২ মিটার নিচে। শনিবার দুপুর ১২টায় এ পয়েন্টে পানি বইছিল বিপৎসীমার ২ দশমিক ৪৭ মিটার নিচ দিয়ে। এ পয়েন্টে সকাল ৬টায় পানি ছিল বিপৎসীমার দুই দশমিক ৯২ মিটার নিচে। ৬ ঘন্টার ব্যবধানে এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার।

শেওলা পয়েন্টেও যথারীতি ফুঁসছে কুশিয়ারা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৪ দশমিক শুণ্য ৪ মিটার নিচে। শনিবার সকাল ৬টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার নিচে। আর বিকের ৩টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬৫ মিটার নিচে। অর্থ্যাৎ এ পয়েন্টে ৯ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ৬২ সেন্টিমিটার।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারের শেওলায় বিপদসীমার উপরে কুশিয়ারা, ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র

আপডেট সময়ঃ ০৭:২১:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

টানা বর্ষণ চলছে সিলেট বিয়ানীবাজারজুড়ে। আবার উজানে ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। এর পানিও নেমে আসছে।

এ অবস্থায় বিয়ানীবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু অংশ ডুবে গেছে। ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারাও। বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও যখন তখন দু’কূল ছাপিয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখী হতে পারে বিয়ানীবাজার উপজেলা।

গত কয়েকদিন ধরেই এ অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। বন্যার আশঙ্কায় বিয়ানীবাজারে ৬৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদকে প্রধান করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

এদিকে আবার ক্ষনে ক্ষনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারার পানি। শুক্রবার বিকেলেও বিপৎসীমার কয়েক ফুট নিচে থাকলেও রাতেই তা আশঙ্কাজনক পর্যায়ের দিকে যেতে থাকে। সুরমা-কুশিয়ারা যেভাবে ফুঁসছে, যখন তখন বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কুশিয়ারার পানি আমলসীদে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছিল বিপৎসীমার ৫ দশমিক ৪২ মিটার নিচে। শনিবার দুপুর ১২টায় এ পয়েন্টে পানি বইছিল বিপৎসীমার ২ দশমিক ৪৭ মিটার নিচ দিয়ে। এ পয়েন্টে সকাল ৬টায় পানি ছিল বিপৎসীমার দুই দশমিক ৯২ মিটার নিচে। ৬ ঘন্টার ব্যবধানে এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ৪৫ সেন্টিমিটার।

শেওলা পয়েন্টেও যথারীতি ফুঁসছে কুশিয়ারা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এ পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ৪ দশমিক শুণ্য ৪ মিটার নিচে। শনিবার সকাল ৬টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার নিচে। আর বিকের ৩টায় পানি ছিল বিপৎসীমার ২ দশমিক ৬৫ মিটার নিচে। অর্থ্যাৎ এ পয়েন্টে ৯ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ৬২ সেন্টিমিটার।

নিউজটি শেয়ার করুন