১০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

বিয়ানীবাজারে চামড়া ক্রয়ের আড়ত সংকট

স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময়ঃ ০২:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • / ৭ বার পড়া হয়েছে।

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন বিয়ানীবাজারের স্থায়ী ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পশুর চামড়া ঘিরে উপজেলায় এবার জমজমাট বেচাকেনার আশা তাদের। তবে একাধিক সংকট নিয়ে চিন্তিত এই অঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে বিয়ানীবাজারে চামড়া ক্রয়ের আড়তদার না থাকা, ট্যানারি মালিক ও ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাওনা টাকা, লবণের মূল্যবৃদ্ধি এবং শ্রমিক সংকট ও মজুরি।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার কোথাও নেই চামড়া আড়ত। তবে স্থানীয়ভাবে কসাই এবং কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী এই ব্যবসা করে থাকেন।

ঈদ পরবর্তী প্রায় কোটি টাকার চামড়া হাতবদল হয় এখানে।

চামড়া ব্যবসায়ী হামিদ বলেন, সরকার মফস্বলে গরুর চামড়া ৫৫ টাকা বর্গফুট নির্ধারণ করেছে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে ট্যানারি মালিকরা যেন চামড়া ক্রয় করে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ সবারই ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বিয়ানীবাজারে তিন দশকের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা এবারও খারাপ হবে মনে হচ্ছে। তারপরও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবারো প্রস্তুতি নিচ্ছি। সরকার এবার গরুর চামড়া প্রতি বর্গ ফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু ওই দামে চামড়া কিনলে লসের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ একটি কাঁচা চামড়ায় ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকার লবণ, শ্রমিকের মজুরি ও পরিবহন খরচ রয়েছে। ফলে ৪০০-৫০০ টাকায় চামড়া কিনলে খরচসহ এর দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পড়ে। কিন্তু এই দামে যদি ট্যানারি মালিকরা না কেনেন তাহলে লোকসানে পড়তে হবে। ফলে এবার চামড়া খুব হিসাব করে কিনতে হবে।’

এদিকে সরকার চামড়ার দাম বেঁধে দিলেও ক্রয়-বিক্রয়ে সেই দামে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তেমন সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ সময়টা চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সেজন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজারে চামড়া ক্রয়ের আড়ত সংকট

আপডেট সময়ঃ ০২:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন বিয়ানীবাজারের স্থায়ী ও মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। কোরবানির পশুর চামড়া ঘিরে উপজেলায় এবার জমজমাট বেচাকেনার আশা তাদের। তবে একাধিক সংকট নিয়ে চিন্তিত এই অঞ্চলের চামড়া ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রয়েছে বিয়ানীবাজারে চামড়া ক্রয়ের আড়তদার না থাকা, ট্যানারি মালিক ও ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাওনা টাকা, লবণের মূল্যবৃদ্ধি এবং শ্রমিক সংকট ও মজুরি।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার কোথাও নেই চামড়া আড়ত। তবে স্থানীয়ভাবে কসাই এবং কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী এই ব্যবসা করে থাকেন।

ঈদ পরবর্তী প্রায় কোটি টাকার চামড়া হাতবদল হয় এখানে।

চামড়া ব্যবসায়ী হামিদ বলেন, সরকার মফস্বলে গরুর চামড়া ৫৫ টাকা বর্গফুট নির্ধারণ করেছে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে ট্যানারি মালিকরা যেন চামড়া ক্রয় করে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ সবারই ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

বিয়ানীবাজারে তিন দশকের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা এবারও খারাপ হবে মনে হচ্ছে। তারপরও ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এবারো প্রস্তুতি নিচ্ছি। সরকার এবার গরুর চামড়া প্রতি বর্গ ফুট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু ওই দামে চামড়া কিনলে লসের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ একটি কাঁচা চামড়ায় ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকার লবণ, শ্রমিকের মজুরি ও পরিবহন খরচ রয়েছে। ফলে ৪০০-৫০০ টাকায় চামড়া কিনলে খরচসহ এর দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পড়ে। কিন্তু এই দামে যদি ট্যানারি মালিকরা না কেনেন তাহলে লোকসানে পড়তে হবে। ফলে এবার চামড়া খুব হিসাব করে কিনতে হবে।’

এদিকে সরকার চামড়ার দাম বেঁধে দিলেও ক্রয়-বিক্রয়ে সেই দামে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তেমন সাড়া থাকে না। ফলে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এ সময়টা চামড়ার দাম ভারতে একটু বেশি থাকবে। সেজন্য বেশি মুনাফার আশায় চামড়া পাচার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন