বিয়ানীবাজারে জমে ঊঠেছে কোরবানির পশুর হাট ঈদের আগের রাতকে ‘লটারির রাত’ আখ্যা বিক্রেতাদের ।

- আপডেট সময়ঃ ০৩:৫৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
- / ১০ বার পড়া হয়েছে।

আগামী ৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। সে হিসাবে কোরবানীর জন্য পশু ক্রয়ের সময় বেশ জমে ঊঠেছে । এবার পৌরশহরের পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, মুরাদগঞ্জ বাজার, মুড়িয়ার ওয়াব আলী মার্কেট, লাউতার বারইগ্রাম, তিলপাড়ার দাসউরা ও আছিরগঞ্জ বাজার, মাথিউরার ভাটা বাজার, কুড়ার বাজারের বৈরাগীবাজার, দুবাগ বাজার, চারখাই, রামদা, দিঘিরপার বাজারে এবার পশু ক্রয়-বিক্রয়, ঈদুল আজহার প্রস্তুতি মানেই এমন নানান আয়োজন। সবমিলিয়ে কোরবানির ঈদের আগে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার অন্যান্য পশুর হাট কেন্দ্রিক একটি উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে শুরু করেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ও ছাগলসহ নানা পশু বিয়ানীবাজারের হাটগুলোতে বিক্রির জন্য তুলেছেন বিক্রেতারা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠেছে হাটগুলো। তবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামীকাল থেকে ঈদের রাত পর্যন্ত ভালো বেচাকেনা হবে বলে প্রত্যাশা করছেন বিক্রেতারা। এইবারের ঈদে কোরবানীর জন্য উপজেলায় পশুর কোন সংকট নেই বলে জানা গেছে। বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মবিন হাই জানান, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৬৬টি কোরবানী যোগ্য পশু রয়েছে। এখানে ১০ হাজার ৬শ’ পশুর চাহিদা আছে বলে জানান তিনি। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল থাকে। পশু যাতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিয়ে খামারিদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।
বিয়ানীবাজার উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট ঘুরে ক্রেতা, বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড় আকৃতির গরু তুলনামূলক কম বিক্রি হচ্ছে। তবে সিংহভাগ ক্রেতাদের চাহিদায় আছে মাঝারি ও ছোট আকৃতির গরু। বলতে গেলে লাখ টাকা দামের গরুর দিকেই ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ এবার। হাটগুলোতে এই ধরনের গরুর বিক্রির সংখ্যাই বেশি।
বিক্রেতারা জানান , মূলত আজ, কাল— এই দুই দিন সবচেয়ে বেশি গরু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন। তারা বলছেন, ঈদের রাতের হাট প্রতিবারই লটারির রাত হিসেবে সবাই জানে, ওই রাতে হয় দাম বাড়বে, নয়তো কমবে। তবে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের ভাষ্য, ছোট-মাঝারি সাইজের গরুর দাম বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতাদের দাবি, এবার অন্যবারের তুলনায় গরুর দাম কম। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, স্থায়ী ও অনুমোদিত অস্থায়ী হাট ছাড়া, রাস্তা, বিভিন্ন সড়কের মোড়, গ্রাম্যহাটে পশুর হাট বসালে জড়িতেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উজ্জামান স্থানীয় পশুর হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বুধবার সরজমিন পরিদর্শণ করেন। এ সময় তিনি ক্রেতা-বিক্রেতা ও ইজারাদারদের সাথে কথা বলেন এবং সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।