০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের অপরিকল্পিত সংস্কারে দুই উপজেলায় দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে।

সিলেট জেলা শহরের সাথে বিকল্প সড়ক নিয়ে অস্বস্তিতে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসী। আন্তঃউপজেলা সংযোগ এ সড়কের ৯ কিলোমিটারের অংশের অর্ধেক বছরের পর বছর ইট সুরকি উঠে গিয়ে খানাখন্দ, গর্ত থাকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে সংস্কার কাজের কারণে তাদের দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে না।

বিয়ানীবাজার পৌরশহর থেকে চন্দরপুর পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়কটি ১৯৯৮ সালে পাকাকরণ করা হয়। এরপর থেকে সড়কের বিয়ানীবাজার অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংষ্কার হলে চন্দরপুর অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটার থাকছে বেহাল। একইভাবে চন্দরপুর অংশ সংস্কার হলে বিয়ানীবাজার অংশে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে গত ২৫ বছরের বেশি সময় থেকে অন্তহীন দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন দুই উপজেলার ৭ ইউনিয়নের লাখো মানুষ।

বিয়ানীবাজার চন্দরপুর সড়কের পৌরসভার দাসগ্রাম, বালিকা স্কুলের সম্মুখ, বিজিবি ৫২ ব্যাটলিয়ন সদর দপ্তর এলাকা, লাসাইতলা, মাথিউরা বাজার, পূর্বপাড় ও মিনারাই অংশে খানাখন্দ, অসংখ‍্য ছোট বড় গর্ত রয়েছে। বহু জায়গায় পলেস্তারা উঠে গিয়ে ইট সুরকি বেরিয়ে পড়েছে।

এ সড়ক পাকা হওয়ার পর থেকে এক সাথে সংস্কার হয়নি জানিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, অর্ধেক রাস্তা ভাল থাকলে অর্ধেক সব সময় খারাপ থাকে।

মেরামত করার জন্য পৃথক একটি স্কিম পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশলী দিপক কুমার দাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি আগামীতে এক সাথে সংস্কার করা যায় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

গত চার বছরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব‍্যয়ে সড়কটি দুইভাগে সংস্কার করা হয়। কোটি কোটি টাকা ব‍্যয় হলেও শুধু পরিকল্পনার গাফিলতির কারণে দুই উপজেলার মানুষ সুফল পাচ্ছে না।

সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, কাঙ্খিত সুফল পাওয়ার লক্ষ‍্যে সংস্কার পরিকল্পনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের অপরিকল্পিত সংস্কারে দুই উপজেলায় দুর্ভোগ

আপডেট সময়ঃ ০১:৫৫:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

সিলেট জেলা শহরের সাথে বিকল্প সড়ক নিয়ে অস্বস্তিতে বিয়ানীবাজার ও গোলাপগঞ্জ উপজেলাবাসী। আন্তঃউপজেলা সংযোগ এ সড়কের ৯ কিলোমিটারের অংশের অর্ধেক বছরের পর বছর ইট সুরকি উঠে গিয়ে খানাখন্দ, গর্ত থাকে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে সংস্কার কাজের কারণে তাদের দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে না।

বিয়ানীবাজার পৌরশহর থেকে চন্দরপুর পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়কটি ১৯৯৮ সালে পাকাকরণ করা হয়। এরপর থেকে সড়কের বিয়ানীবাজার অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংষ্কার হলে চন্দরপুর অংশের সাড়ে ৪ কিলোমিটার থাকছে বেহাল। একইভাবে চন্দরপুর অংশ সংস্কার হলে বিয়ানীবাজার অংশে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফলে গত ২৫ বছরের বেশি সময় থেকে অন্তহীন দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন দুই উপজেলার ৭ ইউনিয়নের লাখো মানুষ।

বিয়ানীবাজার চন্দরপুর সড়কের পৌরসভার দাসগ্রাম, বালিকা স্কুলের সম্মুখ, বিজিবি ৫২ ব্যাটলিয়ন সদর দপ্তর এলাকা, লাসাইতলা, মাথিউরা বাজার, পূর্বপাড় ও মিনারাই অংশে খানাখন্দ, অসংখ‍্য ছোট বড় গর্ত রয়েছে। বহু জায়গায় পলেস্তারা উঠে গিয়ে ইট সুরকি বেরিয়ে পড়েছে।

এ সড়ক পাকা হওয়ার পর থেকে এক সাথে সংস্কার হয়নি জানিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, অর্ধেক রাস্তা ভাল থাকলে অর্ধেক সব সময় খারাপ থাকে।

মেরামত করার জন্য পৃথক একটি স্কিম পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রকৌশলী দিপক কুমার দাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি আগামীতে এক সাথে সংস্কার করা যায় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

গত চার বছরে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব‍্যয়ে সড়কটি দুইভাগে সংস্কার করা হয়। কোটি কোটি টাকা ব‍্যয় হলেও শুধু পরিকল্পনার গাফিলতির কারণে দুই উপজেলার মানুষ সুফল পাচ্ছে না।

সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তফা মুন্না বলেন, কাঙ্খিত সুফল পাওয়ার লক্ষ‍্যে সংস্কার পরিকল্পনা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন