মাদকের সাগরে শিশুদের বসবাস

- আপডেট সময়ঃ ১১:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / ৬০ বার পড়া হয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের প্রধান ফটকসংলগ্ন মোহাম্মদপুর উচ্চবিদ্যালয়। গত ৫ মে দুপুরে সেখানে দাঁড়াতেই চোখে পড়ে ১২ বছরের দুই শিশুর। উষ্কখুষ্ক চুল, পরনে রংচটা ছেঁড়া হাফ প্যান্ট ও টি-শার্ট। দুজনের চলাফেরাই কিছুটা সন্দেহজনক, তারা ফিসফিস করছিল। এ সময় মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি কৌতূহলী ভঙ্গিতে এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করতেই দ্রুত সটকে পড়ে ওই দুই কিশোর। স্থানীয় বাসিন্দা পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি বলেন, ‘ওই দুই কিশোরের হাতে গাঁজার পোঁটলা ছিল। তারা নিজেরাও সেবন করে, আবার অন্য শিশু-কিশোরদের কাছেও বিক্রি করে।’
কেবল মোহাম্মদপুর উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় নয়, জেনেভা ক্যাম্পের পেছনে এপিবিএনের অফিসের গলিতেও গিয়ে দেখা মেলে শিশু-কিশোরদের মাদক সেবন ও বিক্রির তৎপরতার চিত্র। এর বাইরেও গত এক সপ্তাহে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কমলাপুর, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, শিশু-কিশোরদের মরণ নেশায় তথা মাদকের সাগরে ডুবে যাওয়ার হতাশাজনক নানা তথ্য।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, দিনদুপুরে ওই সব এলাকায় মাদক বেচাকেনা হয়। এর সঙ্গে শিশু-কিশোররাও মারাত্মকভাবে জড়িয়ে গেছে। অনেক শিশুর পরিবারের সদস্যরাও মাদক ব্যবসায় জড়িত। ফলে তারও বিরূপ প্রভাবে দ্রুতই ওই পরিবারের ও আশপাশের শিশুরা মাদকের ভয়ংকর নেশার মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। মাদক চক্রের তৎপরতা এত বেশি বেড়েছে যে শিশু-কিশোররা স্কুলে গেলেও শেষ পর্যন্ত সঙ্গদোষে সেখানেও অনেকেই নেশায় জড়িয়ে যাচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) তথ্যমতে, দেশে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই কিশোর-তরুণ।
স্কুলের পাশে মাদকের পসরা
জেনেভা ক্যাম্পে মাদক চক্রের তৎপরতার খবর কমবেশি প্রায় সবারই জানা। বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও জেনেভা ক্যাম্পকে মাদকমুক্ত করা যায়নি। বরং নতুন উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এই জেনেভা ক্যাম্পের বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর মরণ নেশায় আসক্ত। অনেকে মাদক কারবারের সঙ্গেও জড়িয়ে গেছে। ক্যাম্পের ভেতরেই রয়েছে এলএনজি জুনিয়র হাইস্কুল। ক্যাম্পের প্রধান ফটকের দেয়াল ঘেঁষে রয়েছে মোহাম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিণ পাশে মোহাম্মদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম কোনায় মোহাম্মদপুর হাইস্কুল। এসবের বাইরেও বেসরকারি পর্যায়ে আরও বেশ কিছু স্কুল রয়েছে ওই এলাকায়। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরের শের শাহ সুরি রোডে রয়েছে ‘ওবেট জেডবিএম ইংলিশ স্কুল’। স্কুলটিতে জেনেভা ক্যাম্পের অনেক শিশু প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ছে। এ ছাড়া ওই এলাকায় রয়েছে বেগম নূর জাহান মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কিশলয় গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এসব স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, জেনেভা ক্যাম্পের শিশুসহ আবাসিক এলাকার শিশুরাও লেখাপড়া করছে স্কুলগুলোতে। যদিও পরিবেশ তেমন ভালো না। ওই এলাকায় অবস্থান করার সময় একাধিক স্কুলের সামনেই মাদক কেনাবেচা করতে দেখা যায়।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, মাদক চক্র উঠতি বয়সী কিশোরদের টার্গেট করে। স্কুলগুলোর ফুটপাত থেকে শুরু করে অলিগলির সব জায়গাতেই সকাল-সন্ধ্যা চলে মাদকের কারবার। বছরের শুরুতে যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, ছয় মাস পর সেখান থেকে অনেকেই ঝরে পড়ে। এই ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা গড়ে ২৫ শতাংশ।
ক্যাম্পের ভেতরের এলএনজি জুনিয়র হাইস্কুলের একজন শিক্ষক বলেন, ক্যাম্পের পরিবেশ খুব খারাপ। মাদক বিক্রির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে প্রায় প্রতি রাতেই মারামারি হয়। ক্যাম্পের ভেতরে এই স্কুলটি খুব কষ্ট করে চালাতে হয়। এই স্কুলে কাগজে-কলমে ৫১০ জন শিক্ষার্থী। তবে প্রায় ২৫ শতাংশ শিশু স্কুলে আসে না।
কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘টাকার অভাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে আসে না। অনেকে আবার মাদক কারবার বা নেশায় আসক্ত হয়ে শিক্ষা লাভের পরিবর্তে অন্ধকার পথে চলে যায়।’
ক্যাম্পের প্রধান ফটক ঘেঁষে মোহাম্মদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানকার সহকারী প্রধান শিক্ষক লতিফা শিরিন বলেছেন, ‘এই স্কুলে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। এখন লটারিতে ভর্তি হওয়ায় ক্যাম্পের শিশুরাও এখানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে। কিন্তু অনেকেই ভর্তি হওয়ার পর ঠিকমতো স্কুলে আসে না।’
ওবেট জেডবিএম ইংলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নূর হাসান বলেন, ‘স্কুলে ২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের বেশির ভাগেরই অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন ভালো নয়। এ ছাড়া বেড়ে ওঠার জন্য পরিবার থেকে এই সময়ে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন, তা তারা পায় না। ফলে পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেকে মাদক, চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। তবে যারা ক্লাসে আসে না তাদের খোঁজখবর নিয়ে আমরা স্কুলে ফেরাতে চেষ্টা করি।’
এদিকে কারওয়ান বাজারে বস্তির শিশুদের পড়াতে ‘টোকাই উন্নয়ন সংস্থা’ নামে একটি স্কুল ছিল। এই স্কুলের শিক্ষক নিলু আক্তার বলেন, ‘বস্তি ভেঙে দিয়েছে। এখন স্কুল নেই। শিশুরা স্কুলে যায় না। আগেও যেসব শিশুকে পড়িয়েছি, তাদের বেশির ভাগই মাদকসেবী।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমলাপুর রেললাইনে ছিন্নমূল শিশুদের একটি স্কুল আছে। আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। সেখানকার শিশুদেরও একই অবস্থা।’
কারওয়ান বাজারের মাছপট্টি এলাকায় থাকেন নাসিমা আক্তার। তার ছোট ভাই আট বছরের মোহাম্মদ আলী স্কুলে যায় না, বখাটেদের সঙ্গে ঘুরে বেড়ায়। পা ভেঙে যাওয়ায় মোহাম্মদ খুঁড়িয়ে হাঁটছিল। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে নাসিমা আক্তার বলেন, ‘গরিব মানুষ, খাইতেই পারি না। স্কুলে কেমনে পাঠামু?’
জেনেভা ক্যাম্প ও বস্তি ঘিরে মাদকের হাট
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের পেছনের গলিতে গেলে শোনা যায় মাদক বিক্রেতাদের হাঁকডাক। সাংকেতিক ভাষায় তারা বিভিন্ন মাদক দ্রব্যের ‘অদ্ভুত’ ধরনের নাম দিয়েছে। ইয়াবাকে এখানে ‘গেলাই’ বা ‘গোলাই’ বলে ডাকে তারা। এ ছাড়া ক্যাম্পের মুরগি পট্টিতেও নিয়মিত বসছে মাদকের হাট, যেখানে মাদক বিক্রি বা সরবরাহেও ব্যবহার করা হচ্ছে শিশু-কিশোরদের। স্থানীয়দের মতে, মোহাম্মদপুরে যত অপরাধ সংঘটিত হয়, তার কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে এই জেনেভা ক্যাম্প। এখানকার টোল মার্কেট বিহারিদের দখলে। মুরগি পট্টিতে জেঁকে বসেছে মাদকের কারবার।
জেনেভা ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা আলম বলেন, ‘বিহারিদের কারণে সারা দিন বাসার গেট বন্ধ রাখতে হয়। বাসার সামনে ডেকে ডেকে অনেক সময় মাদক বিক্রি করে তারা। চুরি-ছিনতাইয়ের ভয় তো আছেই। তাই প্রয়োজন ছাড়া আমরা সন্ধ্যার পরে বের হই না।’
একই বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রাজু আহমেদ বলেন, ‘জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অনেকেই চুরি, ছিনতাই, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। বাসার সামনেই বসে মাদকের হাট। ছোট ছোট বাচ্চাও এসব কাজে যুক্ত হয়ে গেছে।’
গত ৭ মে বিকেলে কারওয়ান বাজার ১ নম্বর রেলগেট থেকে মাছপট্টি পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, রেললাইনের গা ঘেঁষে পলিথিনে মোড়ানো প্রায় ৫০টির মতো ঝুপড়ি ঘর। প্রতিটি ঘরে শিশুসহ গড়ে পাঁচ থেকে সাতজনের বসবাস। সামনেই মাটির চুলায় চলছিল রান্নার কাজ। এ সময়ে পাশেই রেললাইনে বসে গাঁজা সেবন করছিল কয়েকজন শিশু-কিশোর। তারাও এই বস্তির বাসিন্দা। প্রতিবেদনের স্বার্থে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা ধরতেই দৌড়ে পালায় তারা।
কারওয়ান বাজার রেললাইনের বস্তিতে ২৫ বছর ধরে থাকছেন নওগাঁর শাহিনুর। তিনি বলেন, এখানে আগে প্রায় ৫ হাজারের মতো বাসিন্দা ছিল। ফ্লাইওভার করার আগে বস্তিগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেললাইনের মাদকের বিষয়ে ওই নারী জানান, দিনের বেলায় যেমন তেমন, রাত হলেই সেখানে মাদকের হাট বসে। মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় বাধ্য হয়ে শিশুসন্তানদের নিয়ে এখানেই থাকছেন এই নারী।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) কমলাপুর রেললাইনসংলগ্ন এলাকায় গিয়েও দেখা যায় প্রায় অভিন্ন চিত্র। এখানকার বাসিন্দারা জানান, রাত-দিন ওই রেললাইনের পাশে থাকে ছিন্নমূল ও ভাসমান শিশুরা। রেলাইনের বস্তিতেই থাকে বেশির ভাগ শিশু। ট্রেন থেকে ছুড়ে মারা প্লাস্টিকের পানির বোতল ও ময়লার ভাগাড় থেকে কুড়িয়ে আনা নানা সামগ্রী বিক্রি করে নেশার টাকা জোগাড় করে তারা। জুতার গাম বা আঠা দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি ‘ড্যান্ডি’র নেশায় মত্ত এখানকার বেশির ভাগ শিশু-কিশোর।
যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, চোখের সামনে একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ছে। অথচ কোনো সরকারই তাদের কথা ভাবছে না। এটা দেশের জন্য বড় হুমকি। তাই আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশে প্রায় ৫ হাজার বস্তি রয়েছে। সেখানে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। তার এক-তৃতীয়াংশ রয়েছে শিশু। এই শিশুরা মৌলিক অধিকার তথা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। উল্টো দিকে বিভিন্ন চক্র এসব শিশুকে মাদক কারবারের কাজে লাগাচ্ছে। একপর্যায়ে তারা মাদকও সেবন করছে। এসব অসহায় শিশু বড় হয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হচ্ছে, নয় তো বড় সন্ত্রাসীতে পরিণত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘গত জানুয়ারিতে জেনেভা ক্যাম্পের শিশুদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখান থেকে নানা সমস্যা বা কারণ সম্পর্কে জানতে পারি। স্কুলের মনিটরিং খুবই দুর্বল। শিশুরা আসছে কি না, যাচ্ছে কি না, তাদের কী প্রয়োজন- এসব বিষয়ে কেউ খবর রাখে না। এই কাজটি শিক্ষকরাও করেন না, যা দায়িত্বের চরম অবহেলা।’
এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিফ কনসালট্যান্ট ডা. কাজী লুৎফুল কবির বলেন, নিরাময় কেন্দ্রে যারা চিকিৎসা নেয় তাদের বেশির ভাগই শিশু-কিশোর। মাদক সেবনের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে এসব শিশু চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। নেশার কারণে তারা ব্লেড দিয়ে হাত ও শরীর ক্ষতবিক্ষত করে থাকে।
সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘সংবিধানে দেশের নাগরিকদের পাঁচটি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। তবে কোনো সরকারই এসব ছিন্নমূল মানুষের কথা সেভাবে ভাবছে না। মাদকে আসক্ত হয়ে স্কুল থেকে ঝরে পড়া শিশুদের দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। সরকারে যারাই থাকেন, তাদের এসব মানুষের জীবন নিয়ে ভাবতে হবে। সরকারের সদিচ্ছা থাকলেই এই সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব।’
শিশু-কিশোরদের মাদকে জড়ানো নিয়ে যা বলছে পুলিশ
স্কুলের শিশু-কিশোরদের মাদকে জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা মাদক ব্যবসা করায় তার প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর। এলাকায় কোথাও মাদক বেচাকেনার খবর পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। জেনেভা ক্যাম্প ঘিরে মাদকের যে কারবার, তা দমাতে বাসিন্দাদের অর্থনৈতিক পুনর্বাসন প্রয়োজন। শিশুদের বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।’
একই বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি জয়নুল আবেদিন বলেন, মেট্রোরেলের নির্মাণকাজের জন্য বস্তিগুলো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য মাদকের কারবার আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। এখানে ‘লিডো’র তত্ত্বাবধানে একটি স্কুল রয়েছে। যেখানে ছিন্নমূল শিশুরা পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।’