১০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

মৌলভীবাজারে আইনজীবী হ ত্যা র ২০ দিনের মাথায় ফের ফুচকার হাট : সর্বমহলে ক্ষো ভ।

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / ৩১ বার পড়া হয়েছে।

মৌলভীবাজার জেলা বারের তরুণ আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যার মাত্র ২০ দিনের মাথায় পুনরায় হাট বসানো হয়েছে। পৌরসভার সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ফের এই ফুচকার হাট বসানো নিয়ে সর্বমহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল রাতে পৌরসভার ফুচকা স্টলের পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত হন আইনজীবী এডভোকেট সুজন মিয়া। সুজন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মৌলভীবাজারের আইনজীবী সমাজ। ঘটনার পরের দিন সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদালত থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে সংক্ষুব্ধ আইনজীবীরা ফুচকার দোকানে ভাংচুর করেন। এর পর থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ফুচকার স্টল বন্ধ ছিল।ফুচকা ব্যবসায়ীরা জানান, আইনজীবীরা ভাঙচুরের পূর্বে দক্ষিণ গেইটের পাঁচটি স্টল প্রতি মাসে ১ লক্ষ ১০ হাজার, মেইন রাস্তার পাশের প্রতি স্টল ৪’শ এবং উত্তর গেইটের ভেতরের স্টল থেকে ৫/৬’শ টাকা করে দৈনিক চাঁদা নেয়া হতো। নাজমুল নামের পৌরসভার কর্মচারী চাঁদা তুলতেন। ফুচকার স্টল থেকেই প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকার উপরে চাঁদা আদায় করা হতো।

চটপটি ব্যবসায়ী শাহাজান বলেন, পৌরসভার জামান ভাইর মাধ্যমে বিএনপি নেতা রিপন ভাইর সাথে বেরিরপার উনার চেম্বারে বসে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই গত (২৬ এপ্রিল) বিকাল থেকে বসছি। তারপরেও আতংকের মধ্যে আছি। জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, ফুচকার স্টল থেকেই ক্রাইম, ড্রাগ ও নারী নির্যাতনের উৎপত্তি হয়। এটাকে ইস্যু করে চাঁদাবাজি করা হয়। আমরা নতুন কোনো চাঁদাবাজ চাইনা। ফুচকার স্টলগুলো দ্রুত বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এজেলার জনগণ ক্ষেপে গেলে থামানো যাবে না”।পৌর প্রশাসক মো: বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা দুইবার আমার কাছে এসেছিল আমি সরাসরি তাদেরকে বলে দিয়েছি এখানে ফুচকার স্টল বসবে না। পৌরসভা বসাতে চাইলে মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে, পুনরায় ফুচকার হাট বসানো নিয়ে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে,  তারা সবাই বিষয়টি অস্বীকার করছেন। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সিলেটভিউকে বলেন, আমার কাজ রাজনীতি করা এসব করা নয়। আর মৌলভীবাজার পৌরসভার নুরুজ্জামান সিলেটভিউকে জানান, আমরা সাধারণ কর্মচারী, এসব বিষয় জানিনা। পৌরসভার প্রশাসক আছেন তিনিই জানেন বিষয়টি। সূত্র জানায়, প্রতিদিন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ফুচকার স্টলে বসে আড্ডা দেয় ক্লাসবিমুখ ও লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শহরের বখাটে ছেলেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ঐসব ফুচকার স্টল। একটি রাজনীতিক দলের কতিপয় নেতার মধ্যস্থতায় ফুচকার স্টল ফের বসানো হয়েছে। এনিয়ে জেলার সচেতন মহলে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

মৌলভীবাজারে আইনজীবী হ ত্যা র ২০ দিনের মাথায় ফের ফুচকার হাট : সর্বমহলে ক্ষো ভ।

আপডেট সময়ঃ ০৬:১০:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

মৌলভীবাজার জেলা বারের তরুণ আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যার মাত্র ২০ দিনের মাথায় পুনরায় হাট বসানো হয়েছে। পৌরসভার সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ফের এই ফুচকার হাট বসানো নিয়ে সর্বমহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল রাতে পৌরসভার ফুচকা স্টলের পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত হন আইনজীবী এডভোকেট সুজন মিয়া। সুজন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয় মৌলভীবাজারের আইনজীবী সমাজ। ঘটনার পরের দিন সোমবার দুপুরে জেলা জজ আদালত থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে সংক্ষুব্ধ আইনজীবীরা ফুচকার দোকানে ভাংচুর করেন। এর পর থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ফুচকার স্টল বন্ধ ছিল।ফুচকা ব্যবসায়ীরা জানান, আইনজীবীরা ভাঙচুরের পূর্বে দক্ষিণ গেইটের পাঁচটি স্টল প্রতি মাসে ১ লক্ষ ১০ হাজার, মেইন রাস্তার পাশের প্রতি স্টল ৪’শ এবং উত্তর গেইটের ভেতরের স্টল থেকে ৫/৬’শ টাকা করে দৈনিক চাঁদা নেয়া হতো। নাজমুল নামের পৌরসভার কর্মচারী চাঁদা তুলতেন। ফুচকার স্টল থেকেই প্রতি মাসে ৩ লক্ষ টাকার উপরে চাঁদা আদায় করা হতো।

চটপটি ব্যবসায়ী শাহাজান বলেন, পৌরসভার জামান ভাইর মাধ্যমে বিএনপি নেতা রিপন ভাইর সাথে বেরিরপার উনার চেম্বারে বসে একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই গত (২৬ এপ্রিল) বিকাল থেকে বসছি। তারপরেও আতংকের মধ্যে আছি। জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব বলেন, ফুচকার স্টল থেকেই ক্রাইম, ড্রাগ ও নারী নির্যাতনের উৎপত্তি হয়। এটাকে ইস্যু করে চাঁদাবাজি করা হয়। আমরা নতুন কোনো চাঁদাবাজ চাইনা। ফুচকার স্টলগুলো দ্রুত বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এজেলার জনগণ ক্ষেপে গেলে থামানো যাবে না”।পৌর প্রশাসক মো: বুলবুল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, তারা দুইবার আমার কাছে এসেছিল আমি সরাসরি তাদেরকে বলে দিয়েছি এখানে ফুচকার স্টল বসবে না। পৌরসভা বসাতে চাইলে মিটিংয়ে বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

এদিকে, পুনরায় ফুচকার হাট বসানো নিয়ে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে,  তারা সবাই বিষয়টি অস্বীকার করছেন। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সিলেটভিউকে বলেন, আমার কাজ রাজনীতি করা এসব করা নয়। আর মৌলভীবাজার পৌরসভার নুরুজ্জামান সিলেটভিউকে জানান, আমরা সাধারণ কর্মচারী, এসব বিষয় জানিনা। পৌরসভার প্রশাসক আছেন তিনিই জানেন বিষয়টি। সূত্র জানায়, প্রতিদিন স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ফুচকার স্টলে বসে আড্ডা দেয় ক্লাসবিমুখ ও লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শহরের বখাটে ছেলেদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ঐসব ফুচকার স্টল। একটি রাজনীতিক দলের কতিপয় নেতার মধ্যস্থতায় ফুচকার স্টল ফের বসানো হয়েছে। এনিয়ে জেলার সচেতন মহলে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন