০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

যেসব ভিটামিন ও খনিজের অভাবে হতে পারে পেশিতে ব্যথা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৩২:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / ১৬৪ বার পড়া হয়েছে।

প্রতিদিনের একঘেয়ে রুটিন আর ব্যস্ততার মাঝে শরীর যেন বারবার ক্লান্ত হয়ে পড়ে। একটু হাঁটলেও দম ধরে আসে, সিঁড়ি ভাঙতে গিয়েই হাপিয়ে উঠছেন? ঘুম থেকে ওঠার পরও যেন ক্লান্তিভাব কাটছে না। অনেকেই এর জন্য অতিরিক্ত বসে কাজ করাকে দায়ী করেন। যদিও এসব কারণ প্রভাব ফেলতে পারে ঠিকই, তবে এর পেছনে আরেকটি বড় কারণ হতে পারে শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি।

আজকাল অনেকেই ক্ষুধা মেটাতে রোল, চাউমিন বা ফাস্টফুড বেছে নেন। এতে পেট ভরে ঠিকই, কিন্তু শরীর পায় না প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ফলে পেশির কার্যক্ষমতা কমে, ক্লান্তি ও ব্যথা লেগেই থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তিনটি ভিটামিন—ভিটামিন ডি-২, ডি-৩ এবং কে-২ এবং একটি খনিজ ম্যাগনেশিয়াম, এই সমস্যাগুলোর সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ভিটামিন ডি-২ ও ডি-৩: শক্তির মূল চাবিকাঠি
ভিটামিন ডি-এর দুইটি ধরন। ডি২ ও ডি৩ শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ভিটামিন ডি-৩ শরীরে সূর্যালোকের সাহায্যে স্বাভাবিকভাবে তৈরি হয়। এটি হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ভিটামিন ডি-২ মূলত উদ্ভিজ্জ উৎস যেমন মাশরুম, ছত্রাক, সয়া দুধ, আমন্ড মিল্ক বা কমলালেবুর রসে পাওয়া যায়। এটি শরীরে তৈরি হয় না কিন্তু সাপ্লিমেন্ট বা খাবারের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। এই দুই ভিটামিনের ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে পেশি দুর্বলতা, স্নায়বিক সমস্যা ও দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি।

হাড় ও পেশির বন্ধু ভিটামিন কে
ভিটামিন কে-২ শরীরে ক্যালসিয়ামের কাজে সহায়তা করে এবং হাড় ও পেশিকে মজবুত করে। এটি পাওয়া যায় পালংশাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ডিমের কুসুম, সয়াবিন ও মুরগির মাংস থেকে। শুধু ভিটামিন গ্রহণ করলেই যথেষ্ট নয়, সেগুলোর কার্যকারিতা নির্ভর করে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজের ওপর, ম্যাগনেশিয়াম।

ম্যাগনেশিয়াম ছাড়া কার্যকর নয় ভিটামিন ডি
একাধিক গবেষণা, যেমন পাবমেডে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট তখনই কার্যকর হয়, যখন শরীরে যথেষ্ট ম্যাগনেশিয়াম থাকে। ম্যাগনেশিয়াম ভিটামিন ডি-এর শোষণ ও কার্যকারিতা বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে: ওটস, সামুদ্রিক মাছ যেমন (ভেটকি, পমফ্রেট), পালংশাক, কাঠবাদাম, ডার্ক চকোলেট।

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, পেশিতে ব্যথা, বারবার ঝিমুনি অথবা সহজেই হাঁপিয়ে ওঠা—এসব উপসর্গকে হালকা ভাবে নেবেন না। হতে পারে, আপনার শরীর চাইছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ। সময় থাকতেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। সুষম পুষ্টি নিশ্চিত করলেই শরীর আবার ফিরে পাবে তার পুরোনো কর্মক্ষমতা। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন