১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবিতে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তিতীয় দিনে কমপ্লিট শাট-ডাউন কর্মবিরতি পালন করেছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা।
কয়েকদিন ধরে চলমান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছি। টেকনোলজিস্ট ছাড়া কোনো চিকিৎসা সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দীর্ঘদিনের বৈষম্যের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দাবি না মানা হলে কর্মসূচি চলমান থাকবে।”
বক্তারা আরও বলেন, “আমরাই একমাত্র সরকারি চাকুরিজীবী যারা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে সরকারের বিপুল রাজস্ব আদায়ে অবদান রাখি। কর্মবিরতির সময় কোনো রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হলে অথবা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে এর দায় প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।”
হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা আরও বলেন, “অবিলম্বে আমাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্যথায় আমরা পূর্ণাঙ্গ শাটডাউনে পড়ে কঠর আনন্দলনে যেতে বাধ্য হবো এবং তখন দেশের চিকিৎসা সেবা থমকে যাবে। দ্রুততম সময়ে সরকারের কাছে আমাদের দাবি—১০ম গ্রেড বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।”
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোঃ জহুরুল ইসলাম, সভাপতি, এম-ট্যাব, আঞ্চলিক জেলা কমিটি, রাজশাহী, অসীম কুমার ঘোষ, যুগ্মসচিব, এম-ট্যাব, কেন্দ্রীয় সংসদ, মোঃ রেজাউল করিম টুটুল, সদস্য, এম-ট্যাব, কেন্দ্রীয় সংসদ, মোঃ খোরশেদ আলম, সহ-সভাপতি, এম-ট্যাব, আঞ্চলিক জেলা কমিটি, রাজশাহী, মোঃ মিনহাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক, এম-ট্যাব, আঞ্চলিক জেলা কমিটি, রাজশাহী, সাঈদ আহমেদ বিদ্যুৎ, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, এম-ট্যাব, আঞ্চলিক জেলা কমিটি, রাজশাহী, মোঃ মামুনুর রশীদ, সভাপতি, এমটিএফ, রাজশাহী, মোঃ সাইদুর রহমান, ফার্মাসিস্ট, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ।
এদিকে হঠাৎ এ কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা ভোগান্তিতে পড়েন। জরুরি সেবা না পেয়ে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দ্রুত সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রোগী ও স্বজনরা।
প্রধান সম্পাদক ঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন , নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন , বার্তা সম্পাদক ঃ মিসবাহ উদ্দিন
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225