শায়েস্তাগঞ্জে ভুয়া লিজ ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ

- আপডেট সময়ঃ ০২:১৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৪৬ বার পড়া হয়েছে।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপি সভাপতি এ.এফ.এম. আহমেদ অলি বলেছেন, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ের জমি দখল বাণিজ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, এই চক্র তার জনপ্রিয়তা ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রচার করছে।
শনিবার দুপুরে সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। সাবেক মেয়র আহমেদ অলি বলেন, আমি তৃণমূল জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছি। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি। কিন্তু শুরু থেকেই একটি কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় রয়েছে। সম্প্রতি ৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ সাইদুর রহমান গং দাউদনগর বাজারে মানববন্ধন করে আমার ও আমার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মানহানিকর। তিনি জানান, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রেলওয়ের জমি দখল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিলে পৌর পরিষদের সিদ্ধান্তে ওই জমি লিজ বা নবায়ন না করার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয় (রিট নং ৫৪১৩/০৯ ও ১৩১১/২৪)। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। অলি আরও জানান, চট্টগ্রাম রেলওয়ের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা গত ১৩ জুন এক চিঠিতে শায়েস্তাগঞ্জে রেলওয়ের জমি অবৈধ দখল নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই নির্দেশ অমান্য করে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ অনৈতিকভাবে অর্থের বিনিময়ে জমি বুঝিয়ে দেন, যা জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ছালেক মিয়া, সাবেদ আলী, সাইদুর রহমান, ফুল মিয়া শাহ ও শংকরদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মামলা দায়ের করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সাবেক মেয়রের দাবি, ২০২০ সালের উচ্ছেদ অভিযানের পর দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকা রেলওয়ের ওই জমি ২০১৭ সালের তারিখ দেখিয়ে ৭ আওয়ামী লীগ নেতার নামে “ভুয়া কৃষি লিজ” প্রদান করা হয়, যা পরে কৌশলে কোটি কোটি টাকার দখল বাণিজ্যে রূপ নেয়। তিনি আরও বলেন, রেলওয়ে মহাপরিচালকের দপ্তর গত ২৭ আগস্ট ভুয়া লিজ বাতিল ও সংশ্লিষ্ট দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকেও বিষয়টি তদন্তাধীন। এসব দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সাইদুর রহমান গ্যাং আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে রেলওয়ের জমি দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া এবং আইনের মাধ্যমে সুবিচার প্রাপ্তির আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন আমার বিরুদ্ধে কেউ চাঁদাবাজি দেখাতে পারবেনা। জনগণকে সাথে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেবো। সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন. পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাসুক মিয়া, সহ- সভাপতি আব্দুর রহমান, আব্দুল হক, শাহ এমরান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমির আলী,নুরুল হোসেন বাচ্চু, কাউন্সিলর নোয়াব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান শাকিম সহ নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।