০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শোকের মাঝে টাইগারদের সিরিজ জয়ের আনন্দ

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৪৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৮ বার পড়া হয়েছে।

পুরো দেশেই এখন শোকের ছায়া। গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি ভবনের ওপর বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। এই শোকের আবহের মাঝেই দেশবাসীকে আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের আনন্দ এনে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা।

এদিন মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতেছে ৮ রানে। সুবাদে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই ২-০তে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে লিটন দাসদের। এর আগে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৭ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা।

এই সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়ে টানা দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। এর কদিন আগেই শ্রীলঙ্কা থেকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১-এ জিতে ফিরেছে টাইগাররা। বিদেশের মাটিতে করা পারফরম্যান্সটাই দেশের মাটিতে টেনে আনতে পেরেছে লিটন দাসের দল। তাতেই মিলেছে সাফল্য। পাকিস্তানের মতো দল হয়েছে কুপোকাত।

এদিন ম্যাচের শুরুতে মাইলস্টোন কলেজের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। টসের সময় লিটন দাস তাদের মনের অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘যা ঘটেছে, তা আমাদের জন্য খুব কঠিন ছিল। এটা মেনে নেওয়া সহজ নয়। আমরা ভারাক্রান্ত হৃদয়ে খেলতে নামছি। আমি নিজেও একজন অভিভাবক, তাই এই অনুভূতি ভালোভাবেই বুঝতে পারি। সবাই ভীষণ মর্মাহত, খুবই আবেগপ্রবণ এই মুহূর্ত। এখন আমাদের যা করার, তা হলো প্রার্থনা করা।’

ভারাক্রান্ত হৃদয়ে খেলতে নামলেও নিশ্চিতভাবেই জয় তুলে নিয়ে দেশের মানুষের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটানোর প্রত্যয় ছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে। সফলও হয়েছেন তারা। যদিও শেষ দিকে ফাহিম আশরাফের ব্যাটে বেশ ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল দলটি।

আজ টসভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে ছিল না। সেখানে হেসেছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা। আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ধুঁকতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো এদিন আগে বোলিং বেছে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক। আর বোলিংয়ে মনের মতোই শুরু ছিল দলটির। বাংলাদেশের টপ অর্ডার তো এদিন দাঁড়াতেই পারেনি। তবে জাকের আলী অনিকের লড়াকু ফিফটিতে শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১৩৩ রানের পুঁজি গড়তে পেরেছিল বাংলাদেশ।

এই পুঁজিই পরে যথেষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। কারণ বাংলাদেশের বোলাররা ৪.৩ ওভারেই মাত্র ১৫ রানে পাকিস্তানের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দলটির প্রথম ৬ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি, যা লড়াই করার ফাহিম আশরাফ একাই করেছেন ৩২ বলে ৫১ রান। ৪ বল বাকি থাকতে দলটি ১২৫ রানে অলআউট হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন মাহেদী হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন।

এর আগে বাংলাদেশের ইনিংস শেষে স্বাগতিক দর্শকদের মধ্যে কেবল অস্বস্তিই ছিল। কারণ এক ম্যাচ না যেতেই ব্যাটিং ব্যর্থতা সামনে চলে এসেছিল। এদিন পাওয়ার প্লেতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। ৫.৫ ওভারে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর জাকের আলীর ফিফটিতে এগিয়েছে বাংলাদেশের ইনিংস। মাহেদীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৪৯ বলে ৫৩ রান যোগ করেন জাকের। মাহেদী ২৫ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৩ রান করে ফিরে যাওয়ার পর একাই লড়েছেন জাকের। ৪৮ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৫ রান করে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন। পাকিস্তানের পক্ষে সালমান মির্জা, অভিষিক্ত আহমেদ দানিয়াল ও আব্বাস আফ্রিদি সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নেন। ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ নেন একটি করে উইকেট। তবে পরে তাদেরকে ছাড়িয়ে গেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। তাই তো সিরিজ জয় হয়েছে বাংলাদেশের। ব্যাটহাতে লড়াকু ফিফটিতে ম্যাচসেরা হয়েছেন জাকের আলী।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন