মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ৩নং ইউনিয়নের অন্তর্গত ইছবপুর গ্রামের দুর্গা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এক সন্তানের জননী জয়িতা দেব (২৫) স্বামী অর্জুন দাস বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৮:০০ টার দিকে আত্মহত্যা করে। তাদের একটি ছয় বছরের সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন তথ্য ও বক্তব্যের কারণে ঘটনাটিতে যথেষ্ট সন্দেহ তৈরি করেছে।ফলে বিষয়টি নিয়ে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খাবার ও তরকারি নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে সৃষ্ট ঘটনা সমাধানকল্পে বাড়ির অন্যান্যরা গৃহবধূকে তার শ্বশুর-শাশুড়ির কাছে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি বাসার দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
অপরদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বিবাহের পর থেকেই তাদের সংসারে ঝগড়া লেগেই আছে ঘটনার দিন গৃহবধূ তার মেয়েকে নিয়ে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে রান্না করা মাছ তরকারি ও খাবার না থাকায় এ ঘটনা কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়।একপর্যায়ে সে দ্বিতীয় তলায় ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, গৃহবধূ জয়িতা তার সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে রান্না করা খাবার না পেয়ে কিছু খাওয়া-দাওয়া করেনি এ নিয়ে সৃষ্ট কলহের জের ধরে রাত সোয়া ৮ঃ০০ টার দিকে আত্মহত্যা করে। এ সময় নিচ তলায় তার স্বামী শাশুড়ি ও শ্বশুর ছিলেন। এক পর্যায়ে মেয়ে সন্তানটি নিচের দিকে দৌড়ে আসার পর তারা উপরে গিয়ে দেখে যে সে আত্মহত্যা করেছে । পরে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল চিকিৎসার জন্য ইমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করেন। পরে ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ স্বামীর বাড়ির লোকদের কাছে হস্তান্তর করলে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকায় শ্মশানে ধর্মীয় রীতিতে তার সৎকার অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে স্থানীয় আরো একজন দাবি করেছে, নিহত জয়িতার পরিবার তার স্বামীকে খুব ভালোবাসে, তাদের দাবি হচ্ছে মেয়েটি যদি স্বেচ্ছায় ফাঁসিতে ঝুলে থাকে তাহলে তাদের কোন অভিযোগ নেই তবে ময়নাতদন্তে যদি তার মৃত্যুর কোন রহস্য বেরিয়ে আসে তাহলে তারা মামলা করবে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার শাজাহান মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন যে পারিবারিক কলহের জেরে সে ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুবরণ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন কারণে বিষয়টি জটিলতার দিকে এগোচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার পুলিশের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। অফিসিয়াললি ভাবে আমাদেরকে জানিয়েছে, মৃত গৃহবধূ জয়ীতার বাবা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ২ নং মাইজগাঁও ইউনিয়নের কায়স্থ গ্রামের চন্দন কুমার দেব (৬৬) । তিনি একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধান সম্পাদকঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন। নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন। বার্তা সম্পাদকঃ রুমি বরুয়া।
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225
© 2024 Sylhet21 All Rights Reserved. | Developed Success Life IT