সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিয়ানীবাজার পৌরসভার বিশুদ্ধ পানি সুধানাগার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি বর্তমানে অব্যবস্থাপনা ও অবহেলার চিত্রে পরিণত হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও প্লান্টটি এখন একপ্রকার ঝড়াজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে,প্লান্টের পানি সুধানাগারের লেয়ারে জন্মেছে ঘাস ও আগাছা। নোংরা পরিবেশে পানি পরিশোধন কার্যক্রমের কোনো অস্তিত্বই চোখে পড়ে না। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত একজন কর্মচারী থাকলেও তাঁকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।

এদিকে আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো,বিপদজনক অবস্থায় থাকা বিদ্যুতের ব্রেকার ও চয়েস প্যানেল রুম ব্যবহার করা হচ্ছে বসবাসের জায়গা হিসেবে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

পৌরবাসীরা জানান,বিশুদ্ধ পানির কথা শুনেছি বহুবার, কিন্তু ঘরে আজও পাইনি। ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছালে অনেক রোগ-বালাই থেকেও মানুষ রক্ষা পেত।

পৌর প্রশাসনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা স্বীকার করেন,প্রকল্পটিতে পরিকল্পনার ঘাটতি ছিল। পুরোপুরি চালু করতে আরও বিপুল অর্থ প্রয়োজন হবে। তার মধ্যেই প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিলসহ রক্ষণাবেক্ষণে ৩০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হচ্ছে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মুন্না বলেন, প্লান্টটির বর্তমান অবস্থা আমরা অবগত। প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শুরু করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পৌরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি তবে গ্রাহকের আগ্রহ থাকতে হবে ।

স্থানীয়দের প্রত্যাশা,প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপে বহু প্রত্যাশিত বিশুদ্ধ পানির স্বপ্ন যেন বাস্তবে রূপ নেয়।