
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের আলীনগর (পাতারপাড়া) গ্রামে ৭০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষণের ঘটনার পর এবার হামলার শিকার হয়েছেন ওই ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে আলীনগর গ্রামের নির্জন একটি হলুদের ক্ষেতে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে আয়ুব আলী (৫০)-এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষিতার ছেলে শফিকুলের স্ত্রী আফরোজা বেগম (২৫) কৃষি মাঠের দিকে যাওয়ার পথে আয়ুব আলীর ছেলে মিজান (২০) উসকানিমূলক কথা বললে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আয়ুব আলীর পরিবারের সদস্য শহিদুল (৩৫), তার স্ত্রী মনজুয়ারা বেগম, আয়ুবের স্ত্রী মিনারা বেগম ও ছেলে মেহেদী হাসান (২২) মিলে আফরোজাকে টেনে-হিঁচড়ে বাড়ির ভেতর নিয়ে মারধর করে এবং হাত কামড়ে গুরুতর জখম করে।
চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী হামলাকারীদের বাড়ি ঘিরে ফেলে পাঁচজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই সুপদ রায় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং মিনারা বেগম, মিজানুর রহমান, মেহেদী হাসান, শহিদুল ও মনজুয়ারা বেগমকে হেফাজতে নেন।
এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ধর্ষক আয়ুব আলীর ফাঁসির দাবি এবং হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা বলেন, “একদিকে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, অন্যদিকে সেই অপরাধীর পরিবার এখন আবার ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা চালাচ্ছে—এটা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।”
সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ হামলাকারীদের হেফাজতে নিয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষণ মামলার আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে। আইন অনুযায়ী দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ১৯ অক্টোবর দুপুরে আলীনগর (পাতারপাড়া) গ্রামের নির্জন একটি মাঠে ৭০ বছরের ওই নারীকে হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে আয়ুব আলী। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাকে ঘিরে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রধান সম্পাদক ঃ আবুবকর সিদ্দিক সুমন , নির্বাহী সম্পাদকঃ রুবেল হাসনাইন , বার্তা সম্পাদক ঃ মিসবাহ উদ্দিন
গুলশান, ঢাকা-১২১৬, বাংলাদেশ। ইমেইলঃ admin@sylhet21.com,sylhet21.com@gmail.com মোবাইলঃ +1586 665 4225