১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

সিলেটের সাদা পাথর লুটের দেড় থেকে দুই হাজার ব্যক্তি জড়িত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:০৪:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে দেড় থেকে দুই হাজার ব্যক্তি সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যায়। এ কারণে খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং বিধিমালা ২০১২ এর ৯৩(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২০০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খনিজ সম্পদ ও পরিবেশ সচিবের পক্ষে হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ আগস্ট তারিখে কোম্পানিগঞ্জ থানায় মামলা নং ০৯, ধারা খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ তৎসহ ৩৭৯/৪৩১ পেনাল কোড ধারায় দায়ের করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, ৫ আগস্ট থেকে সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০ থেকে ২০০০ ব্যক্তি পাথর চুরি করে নিয়ে যায়।

আদালতের নির্দেশনা অনুসারে, পরিবেশগত আর্থিক ক্ষতি নিরসনের জন্য ২১ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে আহ্বায়ক করে বুয়েটের একজন অধ্যাপকসহ মোট ৬ (ছয়) সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জেলা প্রশাসক এভিডেভিট দাখিল করে আদালতকে অবগত করেন, পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান আছে, দায়ী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরির কাজ অব্যাহত আছে এবং ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারি এরিয়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

বিভিন্ন পত্রিকায় সাদা পাথর লুটপাটের সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ রিট পিটিশন দায়ে করলে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পাশাপাশি ৭ দিনের মধ্যে বিবাদীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া উক্ত সাদা পাথর স্থানীয় সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় সংগ্রহ করে ভোলাগঞ্জের উক্ত নির্দিষ্ট স্থানে উক্ত সাদা পাথরগুলোকে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেন।

জেলা প্রশাসন, বিজিবি, র‌্যাবসহ মোট ৫ জনকে সাদা পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে অ্যাফিডেভিট আকারে ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ সচিব ও খনিজ সম্পদ সচিবকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে, যেখানে বুয়েটের একজন অধ্যাপক থাকবেন। তাদের মাধ্যমে পাথর সরানোর কারণে পরিবেশের কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করে ২ (দুই) মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও বিবাদীদেরকে উক্ত এলাকায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিন ও রাতে তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠন করে ২ (দুই) সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন