০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

সিলেটে অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:২৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৬ বার পড়া হয়েছে।

বেপরোয়া লুটে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র প্রায় পাথরশূন্য হয়ে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরুর পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। এসব পাথর সাদা পাথরে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বুধবার রাত থেকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহর।

তিনি বলেন, ‘১২ হাজার ঘনফুট পাথর এ পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো সাদা পাথরে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। গতরাত (বুধবার) থেকে পাথর এনে ফেলার কাজ চলমান রয়েছে।’

জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাদাপাথর ও আশপাশের এলাকায় এ অভিযান চলে।
সাদা পাথরের পাশের ধলাই নদীর কালাইরাগ এলাকা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এসব পাথর আবার সাদাপাথর স্পটে ফিরিয়ে আনা হবে বলে তখন জেলা প্রশাসন জানায়। এছাড়া কলাবাড়ি এলাকায় পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।

অভিযানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সহায়তা করে।’ এর আগে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন গত ১৩ আগস্ট একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত কমিটি পাথর লুটের ঘটনা অনুসন্ধান করবে। ১৭ আগস্টের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো ও লুটের পাথর সাদা পাথরে পুনঃস্থাপনে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো, জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে, অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে, পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা এবং চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।

এরপর রাতেই লুটের পাথর উদ্ধারে নগরের বিমানবন্দর সড়কের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। এটি এখনো অব্যাহত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সিলেটে অভিযানে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

আপডেট সময়ঃ ০৪:২৫:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

বেপরোয়া লুটে সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র প্রায় পাথরশূন্য হয়ে পড়ার ঘটনায় তোলপাড় শুরুর পর টনক নড়েছে প্রশাসনের। বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে জেলা প্রশাসন। এসব পাথর সাদা পাথরে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বুধবার রাত থেকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহর।

তিনি বলেন, ‘১২ হাজার ঘনফুট পাথর এ পর্যন্ত জব্দ করা হয়েছে। সেগুলো সাদা পাথরে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। গতরাত (বুধবার) থেকে পাথর এনে ফেলার কাজ চলমান রয়েছে।’

জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সাদাপাথর ও আশপাশের এলাকায় এ অভিযান চলে।
সাদা পাথরের পাশের ধলাই নদীর কালাইরাগ এলাকা থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা ১২ হাজার ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়। এসব পাথর আবার সাদাপাথর স্পটে ফিরিয়ে আনা হবে বলে তখন জেলা প্রশাসন জানায়। এছাড়া কলাবাড়ি এলাকায় পাথর ভাঙার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু যন্ত্রের বিদ্যুৎ-সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।

কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার বলেন, ‘নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন।

অভিযানে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সহায়তা করে।’ এর আগে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক লুটপাটের পর জেলা প্রশাসন গত ১৩ আগস্ট একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানায়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত কমিটি পাথর লুটের ঘটনা অনুসন্ধান করবে। ১৭ আগস্টের মধ্যে এ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে বুধবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সমন্বয় সভায় পাথর লুটপাট ঠেকানো ও লুটের পাথর সাদা পাথরে পুনঃস্থাপনে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো, জাফলং ইসিএ এলাকা ও সাদা পাথর এলাকায় ২৪ ঘণ্টা যৌথ বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে পুলিশের চেকপোস্ট যৌথ বাহিনীসহ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে, অবৈধ ক্রাশিং মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নসহ বন্ধ করার জন্য অভিযান চলমান থাকবে, পাথর চুরির সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনা এবং চুরি হওয়া পাথর উদ্ধার করে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে হবে।

এরপর রাতেই লুটের পাথর উদ্ধারে নগরের বিমানবন্দর সড়কের বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। এটি এখনো অব্যাহত আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন