০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটে আলী আমজদের ঘড়িঘর থেকে সরছে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১২০ বার পড়া হয়েছে।

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের বেষ্টনী থেকে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেটের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো। তিনি বলেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের বাইরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নতুন জায়গা নির্ধারণ করে এটি সরিয়ে নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের আহ্বানে মঙ্গলবারের বৈঠকে সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং যারা স্মৃতিস্তম্ভটি পৃথক স্থানে স্থাপনের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।

বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, পরিবেশকর্মী আবদুল করিম কিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটের ১৫১ বছরের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের ভেতর জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’-এর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার অংশবিশেষ আড়াল করে স্মৃতিফলক নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা দেখা দেয়। এই স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের যে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সিলেটকে আলাদা পরিচয় দেয় তার একটি এই আলী আমজদের ঘড়িঘর। ১৮৭৪ সালে এটি স্থাপন করা হয়।

আরো কয়েকটি স্থাপনার সঙ্গে এটি সিলেটের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ ঘড়িঘরের বেষ্টনীর মধ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছিল জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ। এতে ঘড়িঘরের প্রকৃত স্থাপত্যশৈলী আড়ালে পড়ে যাচ্ছিল বলে দাবি সমালোচনাকারীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগসঃ

বিস্তারিত লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

সিলেটে আলী আমজদের ঘড়িঘর থেকে সরছে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ

আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের বেষ্টনী থেকে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সিলেটের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাসিত শেরো। তিনি বলেন, ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের বাইরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নতুন জায়গা নির্ধারণ করে এটি সরিয়ে নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের আহ্বানে মঙ্গলবারের বৈঠকে সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা, শহীদ পরিবারের সদস্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এবং যারা স্মৃতিস্তম্ভটি পৃথক স্থানে স্থাপনের জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলেন।

বৈঠকে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, পরিবেশকর্মী আবদুল করিম কিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সিলেটের ১৫১ বছরের ঐতিহ্যবাহী আলী আমজদের ঘড়িঘরের ভেতর জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিফলক ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’-এর নির্মাণকাজ শুরু করা হয়।

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনার অংশবিশেষ আড়াল করে স্মৃতিফলক নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা দেখা দেয়। এই স্থাপনা নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সম্প্রতি সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, পরিবেশ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
সিলেটের যে কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা সিলেটকে আলাদা পরিচয় দেয় তার একটি এই আলী আমজদের ঘড়িঘর। ১৮৭৪ সালে এটি স্থাপন করা হয়।

আরো কয়েকটি স্থাপনার সঙ্গে এটি সিলেটের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ ঘড়িঘরের বেষ্টনীর মধ্যেই নির্মাণ করা হচ্ছিল জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ। এতে ঘড়িঘরের প্রকৃত স্থাপত্যশৈলী আড়ালে পড়ে যাচ্ছিল বলে দাবি সমালোচনাকারীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন