সিলেটে নামলো ঢাকার ফ্লাইট : শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুন

- আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
- / ৩০ বার পড়া হয়েছে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট চলাচল। ফলে সৌদি আরবের রিয়াদ থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট অবতরণ করেছে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
শনিবার বিকেল ৩টা ৩১ মিনিটে বিজি-৩৪০ নম্বর ফ্লাইটটি ৩৯৬ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটের আকাশে অবতরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ। ফ্লাইটটির গন্তব্য ছিল ঢাকা, কিন্তু বিমানবন্দরের জরুরি পরিস্থিতির কারণে বিকল্প এয়ারপোর্ট হিসেবে সিলেট বেছে নেয়া হয়।
এর আগে দুপুর সোয়া ২টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট সংলগ্ন কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, আগুন নেভাতে প্রথমে ২৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যোগ দেয়।
আগুনের ভয়াবহতা বিবেচনায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর ফায়ার ইউনিটসহ দুই প্লাটুন বিজিবি-ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথভাবে কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বিমানবন্দর এলাকায় সব ধরনের ফ্লাইট অপারেশন বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের অনেক ফ্লাইট ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে এবং যাত্রীদের অপেক্ষায় রাখা হয়েছে টার্মিনালে। অন্যদিকে, বিদেশফেরত বেশ কয়েকটি ফ্লাইটকে বিকল্প এয়ারপোর্টে অবতরণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রিয়াদ থেকে আসা বিমানটি অবতরণ করে সিলেটে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফ্লাইট চলাচল কখন স্বাভাবিক হবে, তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দেশজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ওপরও উঠছে নানা প্রশ্ন।
সন্ধ্যা নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে আরও সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতির উপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের নিরাপদে রাখার পাশাপাশি বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।