সিলেটে লুট হওয়া ৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার

- আপডেট সময়ঃ ০৯:৩৯:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৩ বার পড়া হয়েছে।

তিনদিনের আল্টিমেটাম শেষে সিলেটের সাদাপাথরে লুণ্ঠিত পাথর ফেরাতে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় পাথর লুটপাট ও অবৈধ পাথর হেফাজতে রাখার অপরাধে এক জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযানে ৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দণ্ডিত আব্দুল আলিম (৪২) সিলেটের জৈন্তাপুর থানার আসামপাড়া এলাকার মৃত মনির মিয়া ছেলে ।
জানা গেছে, অবৈধভাবে উত্তোলিত ও মাটিচাপা দিয়ে লুকানো পাথর শনাক্ত ও উদ্ধার, অবৈধ পাথর ব্যবসায়ী, দখলদার ও সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা এবয় উদ্ধার করা পাথরগুলোকে প্রকৃত অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়া এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলোর স্বাভাবিক পরিবেশ পুনরুদ্ধার করতে চিরুনি অভিযান শুরু করে সিলেট জেলা প্রশাসন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাথর লুটপাট ও অবৈধ লাল পাথর হেফাজতে রাখার অপরাধে এক জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসময় তার কাছ থাকা ৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, ‘সিলেটের জেলা প্রশাসনের চিরুনি অভিযানে আজ ১জনকে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামী এখনও থানা হাজতে আছে। আমরা কালকে তাকে কারাগারে প্রেরণ করবো।’
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘প্রশাসনের দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়েছে। সিলেটের লুণ্ঠিত সাদাপাথর উদ্ধারে প্রশাসনের চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, বুধবার জৈন্তাপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ লাল পাথর হেফাজতে রাখার অপরাধে এক জনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসময় অভিযানে ৫ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। পাথরগুলো সাদাপাথরে প্রতিস্থাপন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাথর লুটে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যারাই প্রকৃতির ক্ষতি করেছে, তাদের বিচার হবে। আর পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ যতটা সম্ভব প্রকৃতির কাছাকাছি রূপে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।’