সিলেট-৬ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই: এড.এমরান আহমদ পারবেন কি ধানের শীষ বিজয়ের রঙে রাঙাতে
- আপডেট সময়ঃ ০১:৩৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫
- / ১১৩ বার পড়া হয়েছে।

গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ মুখোমুখি জামায়াত, জমিয়ত ও গণঅধিকার পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে চলছে সরগরম রাজনৈতিক তৎপরতা। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন স্থানীয় আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দলীয় নেতৃত্বে সক্রিয় এই প্রার্থী এবার মাঠে নেমেছেন নবউদ্যমে। প্রশ্ন এখন—ধানের শীষ কি পারবে বিজয়ের রঙে রাঙাতে সিলেট-৬ আসনকে?
মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ দিন-রাত প্রচারণায় ব্যস্ত। গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে পৌর এলাকায় তার টিম গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠক করছে নিয়মিত।
তিনি ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন বিএনপির আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও উন্নয়নের অঙ্গীকার। প্রচারণায় সঙ্গে রয়েছেন দলের স্থানীয় নেতাকর্মী, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের অসংখ্য সদস্য।
অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ বলেন,
“এই এলাকার মানুষ গণতন্ত্রপ্রেমী ও ন্যায়বিচারপ্রত্যাশী। আমি বিশ্বাস করি, জনগণ এবার ধানের শীষে ভোট দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় ঘটাবে।”
শক্ত অবস্থানে প্রতিদ্বন্দ্বীরাও তারা ও বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন
দাড়িপাল্লা প্রতীকে মাঠে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামী নেতা মো. সেলিম উদ্দিন। তিনি দাড়িপাল্লাকে ‘ন্যায় ও সুবিচারের প্রতীক’ হিসেবে তুলে ধরে ধর্মপ্রাণ ভোটারদের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করেছেন।
একইভাবে খেজুরগাছ প্রতীকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী হাফিজ ফখরুল ইসলাম গ্রামে গ্রামে উঠান বৈঠক ও ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে, নতুন রাজনৈতিক শক্তি গণঅধিকার পরিষদের ট্রাক প্রতীকে লড়ছেন প্রবাসফেরত তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ উদ্দিন। তরুণ ও প্রবাসী ভোটারদের কাছে তার প্রচারণা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, বিশেষত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তার দাবি—“আমরা নতুন প্রজন্মের রাজনীতি করতে চাই, যেখানে উন্নয়ন, শিক্ষা ও প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা অগ্রাধিকার পাবে।”
ভোটার সমীকরণে উত্তাপে সিলেট-৬ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪,৮৯,৪৪৯ জন। এর মধ্যে গোলাপগঞ্জে ১০৩টি ও বিয়ানীবাজারে ৮৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। পুরুষ ভোটার ২,৪৮,২০৮ জন এবং নারী ভোটার ২,৪১,২৪১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের কোনো ভোটার এই আসনে নেই।
গত নির্বাচনের তুলনায় এবার ভোটার বেড়েছে ১৬,৭০০ জন।
স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, প্রবাসী নির্ভর পরিবার ও তরুণ ভোটাররাই এবার নির্ণায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন।
ভোটের দিন সময় টিক না হতেই এলাকাজুড়ে এখন পোস্টার, ব্যানার, সভা-সমাবেশ আর প্রচার-উদ্দীপনায় মুখর হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লা। প্রতিটি প্রার্থীই নিজেদের পক্ষে পরিবেশ তৈরিতে ব্যস্ত।
এক প্রবীণ ভোটার বলেন,“অ্যাডভোকেট এমরান সাহেব মাঠে খুব পরিশ্রম করছেন, তবে বাকিরাও শক্তিশালী। শেষ পর্যন্ত বলা মুশকিল, কে জিতবে।”
সবশেষে প্রশ্ন থেকেই যায়—
ধানের শীষ কি পারবে বিজয়ের প্রতীক হয়ে উঠতে, নাকি অন্য কোনো প্রতীক হাসবে শেষ হাসি?



















